ঢাকা, সোমবার   ২৮ জুলাই ২০২৫,   শ্রাবণ ১২ ১৪৩২

‘খালেদা জিয়াকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেই’

প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:২২ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়নি। তাকে অস্বাস্থ্যকর খাবারও দেওয়া হচ্ছে না। তাকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের নতুন ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ মুহুর্তে খালেদা জিয়াকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ডের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ছিল। সবচেয়ে নিরাপদ কারাগার। এখানকার পরিবেশ মোটেও অস্বাস্থ্যকর নয়। যেখানে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে সেটা একটা নতুন বিল্ডিং, যা বাচ্চাদের ডে-কেয়ার সেন্টার ছিল। বিধি অনুযায়ী তাকে যত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার সবই দেওয়া হচ্ছে। তাই এখান থেকে তাকে স্থানান্তরের চিন্তা সরকারের নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে কথা বলতে আমি মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে চুক্তি ছাড়াও ১০টি পয়েন্টের ওপর কথা হয়েছিল। সে আলোচনা এখনও চলছে। আবারও কথা হবে। আগে হাজারে হাজারে রোহিঙ্গা আসতো। এখন মাঝে মাঝে দুই একশ আসে, সেটাও আশাকরি বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত কোস্টগার্ড সদর দফতরে বাহিনীটির ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, কোস্টগার্ড এখন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছেছে। নদী ও সমুদ্রপথে তাদের নজরদারি অনেক বেড়েছে। এক সময় চট্টগ্রাম বন্দরকে ঝুঁকিপূর্ণ বন্দর বলা হতো। কোস্টগার্ডের কারণে এখন আর সে অবস্থা নেই। পানিপথে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান শূন্যের কোটায় নেমেছে। কোস্টগার্ডের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। সরকারের যে ব্লু ইকোনমি পরিকল্পনা রয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে কোস্টগার্ড।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গেল বৃহস্পতিবার বকশীবাজারের বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকেই বিএনপি নেত্রীকে আদালতের পাশে পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম তিনদিন পুরনো কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের পরিত্যক্ত কক্ষে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়। পরে শনিবার রাতে তাকে মহিলা ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসএ/