ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

মহাকাশের কৃষ্ণবস্তুর রহস্য ভেদে নতুন গবেষণা

প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

মহাকাশের কৃষ্ণবস্তু এবং ডার্ক এনার্জির রহস্য উন্মোচনে নতুন করে গবেষণা শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে আনা হয়েছে ৪৫ বছরের পুরনো টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপটি দিয়েই তৈরি করা হবে মহাকাশের সবথেকে বড় থ্রী-ডি (তৃতীয় মাত্রার) মানচিত্র। যার সাহায্যে কৃষ্ণবস্তু এবং ডার্ক এনার্জির বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে বলে আশা করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

ডার্ক এনার্জি স্পেকট্রোস্কপিক ইন্সট্রুমেন্ট নামক এই টেলিস্কোপটি (ডেসি) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের কিট পিকে বসানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানকার ১৪ তলা বিশিষ্ট ৫০০ টন ওজনের ডোমের ভেতর থাকা নিকোলাস ইউ. মায়াল টেলিস্কোপটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর সেখানে বসানো হবে ডেসিকে। এই নতুন গবেষণা প্রজেক্টটি পাঁচ বছর মেয়াদী দীর্ঘ হবে বলে জানায় চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।

১৯৭০ সালে প্রথমবারের মত ‘কৃষ্ণবস্তু’ এবং ‘ডার্ক এনার্জি’র ধারণা দেন সেসময়ের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তবে এরপর থেকে আজ পর্যন্ত খুব বেশি কিছু জানা যায়নি এ সম্পর্কে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ডার্ক এনার্জি বিষয়টি যতটা ক্ষুদ্র আবার ততটাই বড়। ডার্ক এনার্জির জন্যই প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্বের আকার।

ডার্ক এনার্জি ছাড়াও মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি এবং মহাকর্ষীয় ত্বরণের বিষয়েও জানা যেতে পারে এ গবেষণার মাধ্যমে। গবেষণা প্রজেকেটের মুখপাত্র হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেনিয়েল আইসেনস্টাইন বলেন, ‘মহাবিশ্বের অজানা কোন বিষয়ে জানার অন্যতম উপায় হল ছায়াপথের ক্লাস্টারের ওপর এর প্রভাবের প্রকৃতি পর্যালোচনা করা। ডেসি যে নতুন ম্যাপ দেবে তাদের জ্যোতির্বিদ্যাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে’।

গবেষণা দলের আরেক সদস্য ব্রেন্না ফ্লগার বলেন, ‘এখন আমরা একসাথে শুধু একটি ছায়াপথের গতি পর্যালোচনা করতে পারি। ডেসি’র কারণে আমরা একসাথে পাঁচ হাজার ছায়াপথের গতি পর্যালোচনা করতে পারব। পাঁচ বছরের এ গবেষণায় আমরা প্রায় ৩০ মিলিয়ন ছায়াপথের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করব আমরা’।

প্রায় ১১ বিলিয়ন বছর আগের পৃথিবী সম্পর্কেও এক গভীর প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে ডেসি প্রজেক্টে।

প্রায় ১ মিটার ব্যাসের ছয়টি লেন্স থাকবে ডেসিতে। এগুলোর সবগুলোই ইতোমধ্যে তৈরি করা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান গবেষকেরা।

সূত্রঃ জি নিউজ

//এস এইচ এস// এআর