পড়তির মুখে চীনা স্মার্টফোনের বাজার
প্রকাশিত : ১২:৩৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার

প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে কোনো প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি চীনের স্মার্টফোনের বাজার। ফলে টানা আট বছরের প্রবৃদ্ধির ধাক্কা খেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মোবাইল ফোন বাজার।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে চীনের স্মার্টফোন ব্যবসা কমেছে ৪ শতাংশ।
চীনের ফোনের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে মূলত স্মার্টফোন হুয়াওয়ে, ভিভো, অপো। তবে ২০১৭ সালে হুয়াওয়ে কিছুটা সফল ছিল। দুই অঙ্কের ঘরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে কোম্পানিটির। কিন্তু অপো ও ভিভোর স্মার্টফোন সরবরাহ কমেছে যথাক্রমে ১৬ ও ৭ শতাংশ।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বের স্মার্টফোনের বাজার দখল করে রাখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং। তবে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ছোট ছোট চীনা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ব্র্যান্ড মাথা তুলে দাঁড়ায়। চীনের বড় বড় শহর যেমন বেইজিং ও সাংহাইয়ের মানুষ আইফোন ও গ্যালাক্সি ছাড়া ভাবতে পারে না। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ দামের কারণে এসব ফোন কিনতে পারত না। এমন অবস্থায় ভোক্তাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ফোন কম দামে দিতে বাজারে আসে অপো ও ভিভো। মূলত দ্রুতগতির এন্ট্রি-লেভেল ফোন খুবই সুলভ মূল্যে দিচ্ছিল চীনা কোম্পানিগুলো। ফলে চীনের বাজারে ফোনের চাহিদার একটি পরিবর্তন দেখা দেয়। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত অ্যাপলের সমপরিমাণ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে হুয়াওয়ে।
ক্যানালিসের গবেষক মো. জিয়া বলছেন, ‘চীনে স্মার্টফোন বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে, ক্রেতারা ইতিমধ্যে বেসিক ফোন থেকে এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোন নিয়ে ফেলেছেন। ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো এমন সব ফোন তৈরি করছে, যার ফিচারগুলো আইফোন ও স্যামসাংয়ের ফোনের সমতুল্য। গ্রাহকেরা বলছেন, এখন তাঁদের যে ফোনটি আছে, তা যথেষ্ট ভালো।’
জিয়া বলেন, অপো ও ভিভো রাশিয়া ও জাপানের মতো দেশগুলোতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাইছে। এ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায়ও বাজার আরও গভীর করছে তারা। আর হুয়াওয়ের নজর বাজেট স্মার্টফোনের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা এই ব্র্যান্ডটির কদর নেই। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ফোনের চাহিদা বাড়ছে।
ক্যানালিস মনে করছে, ২০১৯ সালে পঞ্চম জেনারেশন (ফাইভ-জি) ডিভাইস বাজারে আসার আগ পর্যন্ত চীনের স্মার্টফোনের বাজার আর বিস্তার লাভ করবে না।
সূত্র: সিএনএন
একে// এআর