ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

মৌমাছির নতুন জাত উদ্ভাবন করুন: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১১:৪২ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার

দেশি ও বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছির সঙ্গে ক্রস ঘটিয়ে উন্নত নতুন প্রজাতির মৌমাছি তৈরিতে প্রয়োজনীয় গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে মধুর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। মধু আহরণ ও ফসলের পরাগায়ণে উন্নত প্রজাতির মৌমাছির উদ্ভাবন জরুরি হয়ে পড়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটের আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটোরিয়াম চত্বরে দুদিনব্যাপী ‘জাতীয় মৌ মেলা-২০১৮’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশীয় মৌমাছি নিয়েও গবেষণা হওয়া উচিৎ। সব শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষই মধু খায়। মধু খেয়ে মানুষ নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করে। গ্রামে নতুন কোনো শিশুর জন্ম হলে আগে প্রথমেই মুখে মধু দেয়া হতো। মৌ চাষের মাধ্যমে ফলন শতকরা ২০ ভাগ বাড়ানো সম্ভব। শুষ্ক মৌসুমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুল পাই। এ সময় মৌ চাষের এবং মধু আহরণের উপযুক্ত সময়।

পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাওয়ার কথা পুনরায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানির স্তর নিচে নামছে। বোরো উৎপাদনে পানির খরচও বেশি হয়। এক কেজি ধান উৎপাদন করতে তিন হাজার ২শ’ লিটার পানি খরচ হয়। আমাদের আউশ ও আমনের দিকে জোর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দানাদার খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে আমাদের দানাদার খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আর এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে গম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ বলেন, মৌচাষে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধন করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কাঁচা মধুকে প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রফতানির আহ্বান জানান তিনি।

মেলা উপলক্ষে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশে মৌচাষ সম্প্রসারণ, সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর সাখাওয়াৎ হোসেন। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিসিকের মৌচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক খোন্দকার আমিনুজ্জামান ও এগ্রো প্রসেসিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএই’র হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান।

মেলায় সরকারি-বেসরকারি ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ৬০টি স্টল রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা সরিষা, ধনিয়া, তিল, কালিজিরা, লিচু এসব ফসলে মৌচাষ, মধু আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরকে//