ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

থানার তালা ভেঙ্গে ধর্ষককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত : ০১:৩১ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৩৮ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া দুই আসামীকে পুলিশের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গণপিটুনিতে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে জীবন বাঁচাতে থানা থেকে পালিয়ে যায় পুলিশ। এই সুযোগে থানায় ঢুকেই দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত দুই তরুণ চা শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে ‌যান লোহিত জেলার নামগো মিসিং গ্রামের বছর পাঁচের একটি শিশু। ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি চা বাগানোর পাশে তার গলাকাটা দেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় সঞ্জয় সুবুর ও জগদীশ লোহার নামে ২ চা বাগান শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিস। প্রাথমকি জিজ্ঞাসবাদে ওই দুই চা শ্রমিক ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে নিহতদের একজন সরাসরি হত্যা ও ধর্ষণ কাজে জড়িত ছিল না বলে দাবি করে আসছিল। সে কেবল অপরজনকে সহযোগিতা করছিল।


জানা যায়, গতকাল সোমবার ভোরে সশস্ত্র জনতা তেজু থানায় হামলা চালায়। জনতার রোষ থেকে বাঁচতে থানা ছেড়ে পালায় পুলিশ। সেই সু‌যোগে থানারে গেট ভেঙে ২ অভি‌যুক্তকে বাইরে বের করে আনে জনতা। এরপর বাজারের মধ্যে তাদের তাদের নগ্ন করে ঘোরানোর প্রাকাশ্যে পিটিয়ে মারা হয় ওই দুই অভি‌যুক্তকে। ২০১৫ সালেও ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল নাগাল্যন্ডের। সেবার ডিমাপুরে সেন্ট্রাল জেল ভেঙে ধর্ষণে অভি‌যুক্ত এক ‌যুবককে বের করে এনে পিটিয়ে মারে জনতা। ভারতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রায়ই বেড়ে চলছে।

সূত্র: এনডিটিভি
এমজে/