ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

২০২০-এও লড়বেন ট্রাম্প

নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান ব্র্যাড পারস্কেল

প্রকাশিত : ০৯:১৩ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

ট্রাম্প সমালোচকদের জন্য দুঃসংবাদ। আসন্ন ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বারের মত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তিনি। আর এ লক্ষ্যে ব্র্যাড পারস্কেলকে নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সময়েই দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দখল নেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই অর্থ জোগানের কাজও শুরু করেছিলেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার ব্র্যাডকে নির্বাচনী প্রচারণার নিয়োগের মাধ্যমে খামখেয়ালী ট্রাম্পের কথার গুরুত্ব নিশ্চিত হল।

বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাত দিয়ে ছেলে এরিক ট্রাম্প এক লিখিত বক্তব্যে গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এসময় এরিক বলেন, “ব্র্যাড একজন সফল মেধাবী ব্যক্তি। ২০১৬ সাল থেকেই আমাদের সফলতার পেছনের কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন তিনি। তার ওপর আমাদের পরিবারের পুরো আস্থা আছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তিনিই এ মুহুর্তে নির্বাচনী প্রচারণার হাল ধরার জন্য সবথেকে যোগ্য ব্যক্তি”।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সালের মতই এবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই প্রচারণায় বেশি গুরুত্ব দিতে ব্র্যাডকে এ পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।

সেবছর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ের পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকাকে অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই মাধ্যমটির সফল ব্যবহার করেছিলেন সেসময়ে ট্রাম্পের প্রচারণার পরিচালক পদের দায়িত্বে থাকা ব্র্যাড।

আগামী বছর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের প্রচারণার কাজেও সাহায্য করবেন ব্র্যাড পারস্কেল।

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে টিকিট পেতে হবে নিজ দল থেকে। রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পেলে তবেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার সুযোগ পাবেন।

তবে রিপাবলিকান দলের বেশ কয়েকজন সিনেটর ‘ট্রাম্প বলয়’ থেকে নিজেদের বের করে নিয়ে আসছেন। চলতি মাসে অভিভাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের আনা একটি বিল পাস হতে পারেনি নিজ দলের সিনেটরদের ভেটোর কারণে।

ধারণা করা হচ্ছে, রিপাবলিকান দল থেকে কোন নতুন মুখ দেখা যেতে পারে ট্রাম্পের বিপক্ষে। আর ট্রাম্পের সমালোচনার প্রভাব যদি চলতি বছরের সিনেট নির্বাচনে দেখা যায় তাহলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই দল অবস্থান নিতে পারে; এমনতাই ভাবছে রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

সূত্র: জি নিউজ

//এস এইচ এস//টিকে