ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

যে জ্ঞান ফরযে আইন

প্রকাশিত : ১২:০৪ এএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৪৭ পিএম, ১ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ইমাম আবু হামেদ মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ আল-গাযযালী রচিত ‘এহইয়াউ উলুমিদ্দীন’ বিগত আট শতাধিক বছর ধরে সমগ্র মুসলিম জাহানে সর্বাধিক পঠিত একটি বই। এই বই থেকে জ্ঞান অর্জনের বিষয়ে ইসলাম ধর্মের মতামতগুলো তুলে ধরা হলো।

রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয করা হয়েছে। তোমরা জ্ঞান অর্জন করো, যদিও তা চীন দেশে থাকে।

যে জ্ঞান প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরযে আইন, তা কী? এ ব্যাপারে মতভেদ আছে এতে বিশটিরও বেশি মতের সন্ধান পাওয়া যায়। আমরা সবগুলোর বিবরণ দিচ্ছি না। তবে মতভেদের সার কথা প্রত্যেক পক্ষই সে জ্ঞানকে অত্যাবশ্যক বলেছেন, যাতে সে নিজে নিয়োজিত ছিল। উদাহরণতঃ কালাম শাস্ত্র ও পণ্ডিতগণ বলেন, কালাম শাস্ত্র ফরযে আইন। কারণ, তওহীদ তথা আল্লাহ্‌র একত্ববাদ এর মাধ্যমেই জানা যায় এবং আল্লাহ তাআলার সত্তা ও গুণাবলির জ্ঞান এ শাস্ত্র দ্বারাই অর্জিত হয়। ফেকাহবিদগণ বলেন, ফেকাহ শাস্ত্র শিক্ষা করা ফরযে আইন। কারণ এর মাধ্যমে এবাদত, হালাল- হারাম এবং জায়েয না জায়েয ও আদান- প্রদান সম্পর্কে জানা যায়। তফসিরবিদ ও হাদিসবিদগণ বলেন, আল্লাহ্‌র কিতাব ও রসূলের (সাঃ) সুন্নাত শিক্ষা করা ফরযে আইন। কেননা, এ দুটি থেকেই সকল শাস্ত্র উৎপত্তি।

সূফীগণ বলেন, ফরযে আইন হচ্ছে আমাদের জ্ঞান। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, বান্দার নিজের অবস্থা এবং আল্লাহ তা`আলার কাছে তার মর্যাদার অবস্থা জানা ফরযে আইন। কেউ বলেন, এখলাস, নফসের অপবাদ এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা ও ফেরেশতাদের এলহামের পার্থক্য জানা ফরযে আইন। আবার কেউ বলেন, ফরযে আইন হচ্ছে `এলমে বাতেন` যা এ জ্ঞানের যোগ্য বিশেষ লোকদের উপর ওয়াজেব। তাঁরা শব্দের ব্যাপকতা পরিবর্তন করে একে বিশেষ অর্থে নিয়েছেন।

আবু তালেব মক্কী (রহঃ) বলেন, ফরযে আইন হচ্ছে সে জ্ঞান, যা নিম্নে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-পাঁচটি বিষয়ের উপর ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিতঃ এ বিষয়ের সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতিত কোন মাবুদ নেই.......

কেননা এ পাঁচটি বিষয়ই ওয়াজেব। তাই এগুলো ওয়াজেব। এখন শিক্ষার্থীর পক্ষে যে বিষয়টি বিশ্বাস করা দরকার, তা আমরা উল্লেখ করছি। আমরা এ অধ্যায়ের ভূমিকায় বলে এসেছি যে, এলেম দুই প্রকার (১) এলমে মোয়ামালা ও (২) এলমে মোকাশাফা। হাদিসে যে এলেম প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয বলে ব্যক্ত হয়েছে, তা হচ্ছে এলমে মোয়ামালা তথা আদান প্রদান সম্পর্কিত জ্ঞান। বুদ্ধিমান প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তিন প্রকার বিষয়ের নির্দেশ দেয়া হয়-১. বিশ্বাস ২. বিশ্বাস অনুযায়ী আমল করা ও ৩. না করা। এখন ধরুন, কোন ব্যক্তি সূর্যোদয় ও দ্বিপ্রহরের মধ্যবর্তী সময়ে বালেগ হল।

এখন তার উপর প্রথমত, ওয়াজেব হবে শাহাদতের উভয় কলেমা অর্থ সহ শিক্ষা করা। অর্থাৎ ``লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ`` কলেমাটি শেখা ও তার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা ওয়াজেব হবে। এ সম্পর্কে আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে যুক্তি-প্রমাণ লিপিবদ্ধ করে বিশ্বাস করা ওয়াজেব হবে না, বরং নিঃসন্দেহে ও দ্বিধাহীন চিত্তে কালেমাদ্বয় সত্য বলে বিশ্বাস করাই তার পক্ষে যথেষ্ট হবে। এতটুকু জ্ঞান মাঝে মাঝে অনুসরণ ও শ্রবণের মাধ্যমেও অর্জিত হয়ে যায়- আলোচনা ও বিতর্কের প্রয়োজন হয় না। আলোচনা ও যুক্তি প্রমাণ ওয়াজেব না হওয়ার কারণ, রসুলুল্লাহ (সাঃ) আরবের লোকদের কাছ থেকে যুক্তি ছাড়াই কেবল সত্য বলে বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেছেন।

 

মোট কথা উপরোক্ত বিষয়টুকু জেনে নিলেই তখনকার ওয়াজেব আদায় হয়ে যাবে। তখন কালেমাদ্বয় শিক্ষা করা ও অর্থ হৃদয়ঙ্গম করাই তার জন্য ফরযে আইন ছিল। এছাড়া অন্য কোন কিছু তার জন্যে জরুরি ছিল না। কারণ, সে যদি এই কালেমাদ্বয় সত্য বলে বিশ্বাস করার পর মারা যায়, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা`আলার অনুগত বান্দারূপেই মরবে, নাফরমানরূপে নয়।

কালেমার পর অন্য বিষয়সমূহ সাময়িক কারণাদির ভিত্তিতে তার উপর ওয়াজেব হয়। এগুলো প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য নয়। কেউ কেউ এগুলো থেকে আলাদাও থাকতে পারে। এসব সাময়িক কারণ কর্ম ও বিশ্বাসের মধ্যে দেখা দেয়। প্রথমটির উদাহরণ এই- মনে কর, উপরোক্ত ব্যক্তি সূর্যোদয় ও দ্বিপ্রহরের মধ্যবর্তী সময় থেকে যোহর পর্যন্ত জীবিত রইল। যোহরের সময় এলে তার উপর নতুন ওয়াজেব হবে ওযু ও নামাযের মাসাআলা শিক্ষা করা। অতএব এ ব্যক্তি বালেগ হওয়ার সময় সুস্থ থাকলে যদি সে সূর্য  ঢলে পড়ার সময় পর্যন্ত কিছু না শেখে এবং এ সময়ের পর শিখতে শুরু করলে ঠিক সময়ে সব শেখে আমল করতে না পারে, তবে বলা যায় যে, সে জীবিত থাকবে বিধায় সময়ের পূর্বেই শিক্ষা করা তার উপর ওয়াজেব। এ কথাও বলা যায়, জানা আমল করার জন্য শর্ত। আমল ওয়াজেব হওয়ার পর সে আমল সম্পর্কে জানা ওয়াজেব হয়। সুতরাং প্রথম সময় থেকে শিক্ষা করা তার উপর ওয়াজেব নয়। অন্যান্য নামাযের বেলায়ও এ কথা প্রযোজ্য।

এর পর যদি এ ব্যক্তি রমজান পর্যন্ত জীবিত থাকে, তবে রমজানের কারণে রোযা শিক্ষা করা তার উপর নতুন ওয়াজেব হবে। অর্থাৎ, জানতে হবে যে, সোবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযার সময়। এ সময়ে রোযার নিয়ত করা এবং পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা জরুরী।

এখন যদি তার কাছে অর্থ সম্পদ আশে অথবা বালেগ হওয়ার সময়ই অর্থ সম্পদ থাকে, তবে যাকাতের পরিমাণ জানা তার জন্যে অপরিহার্য হবে। কিন্তু তখনই অপরিহার্য হবে না, বরং বালেগ হওয়ার সময় থেকে এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর অপরিহার্য হবে। যদি তার কাছে উট ব্যতীত অন্য কিছু না থাকে তবে কেবল উটের যাকাত জানাই জরুরি হবে। অন্যান্য মালের ক্ষেত্রে এরূপ বুঝা উচিত।

যদি তার উপর হজের মাস আসে, তবে হজের মাসআলা তখনই জানা জরুরি নয়। কেননা হজ সমগ্র জীবৎকালের মধ্যে মাত্র একবার আদায় করতে হয়। তবে আলেমগণের উচিত তার সামর্থ্য থাকলে বলে দেয়া যে, জীবনে একবার হজ করা সে ব্যক্তি উপর ফরয, যে পাথেয় ও সওয়ারির মালিক। এতে সম্ভবতঃ সে সাবধানতা অবলম্বনে জরুরি মনে করে দ্রুত হজ আদায় করতে সচেষ্ট হবে। অতঃপর যখন সে হজ করার ইচ্ছা করবে, তখন মাসাআলা শিক্ষা করা তার উপর ওয়াজেব হবে। তবে কেবল হজ্জের আরকান ও ওয়াজেব বিষয়সমূহ শিক্ষা করা জরুরী হবে-নফলসমূহ নয়। কারণ, যে কাজ করা নফল, তা শিক্ষা করাও নফল। মোটকথা, যেসব করণীয় কাজ ফরযে আইন, সেগুলো শিক্ষা করা ক্রমান্বয়ে এমনিভাবে ওয়াজেব হবে। বর্জনীয় কর্মের ক্ষেত্রেও যখন যেরূপ অবস্থা দেখা দেবে, সেভাবেই তা শিক্ষা করা ওয়াজেব। এ বিষয়টি মানুষের অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন রূপ। উদাহরণতঃ যেসব কথা বার্তা বলা হারাম, সেগুলো জানা বোবার জন্য ওয়াজেব নয়।

অথবা অবৈধ দৃষ্টির মাসাআলা জানা অন্ধের জন্যে জরুরি নয় কিংবা জঙ্গলে বাস করে,তাদের জন্যে কোন কোন গৃহে বসা হারাম, তা জানা আবশ্যক নয়। মোট কথা, যদি জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এসব বিষয়ের প্রয়োজন হবে না, তবে সেগুলো শিক্ষা করা তাঁর উপর ওয়াজেব নয়, বরং যেসব বিষয়ে সে লিপ্ত, সেগুলো সম্পর্কে বলে দেয়া জরুরি।

উদাহরণতঃ যদি মুসলমান হওয়ার সময় রেশমি বস্র পরিহিত থাকে অথবা অবৈধভাবে দখল করা জমিনে বসে থাকে কিংবা বেগানা নারীর প্রতি তাকিয়ে থাকে, তবে তাকে এসব বিষয় বর্জন করার কথা বলে দেয়া জরুরি। যেসব বিষয়ে সে লিপ্ত নয়, বরং অদূর ভবিষ্যতে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেমন পানাহারের বস্তু, সেগুলো শিক্ষা দেয়া ওয়াজেব।

উদাহরণতঃ যদি কোন শহরে মদ্যপান ও শূকরের মাংস খাওয়ার প্রচলন থাকে, তবে তাকে এগুলো বর্জন করার কথা বলা জরুরি। যেসব বিষয় শিক্ষা করা ওয়াজেব, সেগুলো শেখানোও  ওয়াজেব। বিশ্বাস এবং অন্তরের কর্মসমূহ জানাও আশংকা অনুযায়ী ওয়াজেব। যেমন, তার অন্তরে কালেমাদ্বয়ের অর্থ সম্পর্কে সংশয় সৃষ্টি হলে তার এমন বিষয় শেখা উচিত, যা দ্বারা সন্দেহ দূর হয়ে যায়। যদি সে সন্দেহ করে এবং মরে যায়, মৃত্যুর সময় সে বিশ্বাস করেনি যে, আল্লাহ তা`আলার কালামে পাক অন্তত, আল্লাহ্‌র দিদার সম্ভবপর, তার মধ্যে পরিবর্তনের অবকাশ নেই এবং এছাড়া অন্যান্য বিশ্বাস ও পোষণ করেনি, তবে এরূপ ব্যক্তি সকলের মতানুযায়ী ইসলামের উপরই মরেছে। কিন্তু যেসব কুমন্ত্রণা বিশ্বাসের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে, সেগুলোর কতক স্বয়ং মানুষের মন থেকে উদ্গত হয় এবং কতক পরিস্থিতি-পরিবেশের প্রভাব মনে উৎপন্ন হয়।

যদি সে এমন শহরে বসবাস করে, যেখানে বেদাআতি কথাবার্তার প্রচলন রয়েছে, তবে তাকে বালেগ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে সত্য বিষয় শিখিয়ে বেদআত থেকে রক্ষা করতে হবে, যাতে প্রথমেই মিথ্যা শিকড় গেড়ে না বসে। কেননা, মিথ্যা শ্রুতিগোচর হয়ে গেলে তা মন থেকে দূর করা ওয়াজেব হবে। অবশ্য কোন কোন সময় এটা দূর করা কঠিন হয়ে পড়ে। উদাহরণতঃ নও মুসলিম ব্যক্তি ব্যবসায়ী হলে এবং তার শহরে সুদের কারবার প্রচলিত থাকলে সুদ থেকে আত্মরক্ষার মাসআলা শিক্ষা করা তার জন্য ওয়াজেব হবে। অতএব ফরযে আইন শিক্ষা সম্পর্কে আমরা যা লিপিবদ্ধ করেছি, তাই সত্য। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় আমলের অবস্থা জানা ফরযে আইন। সুতরাং যে ব্যক্তি প্রয়োজনীয় আমল ও তার ওয়াজেব হওয়ার সময় জেনে নেবে, সে তার ফরযে আইন জ্ঞান অর্জন করে নেবে। সূফীগণ বলেছেন, ফরযে আইন শিক্ষার উদ্দেশ্য শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং ফেরেশতাদের ইলহাম জানা। তাদের এ উক্তিও সত্য, কিন্তু সে ব্যক্তির জন্যে, যে এতে লিপ্ত হয়। মানুষ যেহেতু প্রায়ই অনিষ্টের কারণাদি তথা রিয়া ও হিংসা থেকে মুক্ত থাকে না, তাই তিনটি ধ্বংসাত্মক বিষয়ের মধ্য থেকে যার প্রতি সে নিজেকে মুখাপ্রেক্ষি দেখে, তা জানা তার জন্য অপরিহার্য। এটা জানা অবশ্যই ওয়াজেব। কারণ, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিনটি বিষয় মারাত্মক - ১. কৃপণতা, যার আনুগত্য করা হয়, ২. কুপ্রবৃত্তি , যা মেনে চলা হয় এবং ৩. আত্নম্ভরিকা। কোন মানুষ এগুলো থেকে মুক্ত নয়। পরে আমরা আড়ম্বর, আত্মপ্রীতি ইত্যাদি মনের যেসব অবস্থা উল্লেখ করব, সে এ তিনটি মারাত্মক বিষয়েরই অনুসারি, যা দূর করা ফরযে আইন। এই মারাত্মক বিষয় সমূহের সংজ্ঞা, কারণাদি, লক্ষণ, ও প্রতিকার না জানা পর্যন্ত এগুলো দূর করা সম্ভব নয়। কেননা, অনিষ্ট সম্পর্কে না জানার কারণেই মানুষ অনিষ্টে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এর প্রতিকার হচ্ছে বিপরীত বিষয় দ্বারা তার মোকাবেলা করা। পরবর্তীতে বিনাশন পর্বে আমরা যা লিপিবদ্ধ করেছি, তার অধিকাংশই ফরযে আইন। সব মানুষ অনর্থক বিষয়াদিতে মশগুল হওয়ার দিক দিয়ে সেগুলো বর্জন করে রেখেছে।

নও-মুসলিম ব্যক্তিকে বেহেশত, দোযখ, পুনরুজ্জীবন ও কেয়ামতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের বিষয় দ্রুত শিক্ষা দিতে হবে-যাতে সে এগুলো সত্য বলে বিশ্বাস করে। এ বিষয়টিও দুটি কালেমায়ে শাহাদতের পরিশিষ্ট। কারণ, রসূলে (সা.) এর রেসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করার পর তাঁর আনিত বিষয়সমূহও বুঝা দরকার। তা এই যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে, তার জন্য জান্নাত এবং যে তাঁদের নাফরমানি করে তার জন্য জাহান্নাম। সত্য মাযহাব এটাই এবং এ থেকে আরও জানা গেল, প্রত্যেক ব্যক্তির দিবারাত্রির চিন্তাধারার মধ্যে এবাদত ও আদান-প্রদানের কিছু নতুন নতুন ঘটনা ঘটতে থাকে। এ কারণেই তার সামনে যে অভিনব ঘটনা ঘটে, তা জিজ্ঞাসা করা জরুরি এবং যে ঘটনা সত্ত্বর ঘটবে বলে আশা করা যায়, অবিলম্বে তার জ্ঞান লাভ করাও জরুরি।

অনুবাদক: মাওলানা মুহিউদ্দীন খান