ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৬ ১৪৩১

৯৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে তিন রাষ্ট্রের যোগসাজশ

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার

কাতারে ১৯৯৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে সৌদি-আরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও বাহরাইনের হাত ছিল বলে দাবি করেছে আল-জাজিরা। শুধু তাই নয়, দাবির প্রমাণ হিসেবে বেশ কিছু নথিও প্রকাশও করে কাতারের গণমাধ্যমটি। 

এদিকে অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনের প্রথম ধাপেই উঠে এসেছে সৌদি-আরবের সংযুক্ত থাকার বিষয়টি। এ ধাপে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন নেতার সাক্ষাৎকার নিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি। ৯৬ সালের ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছিল তা জানতেই তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

এদিকে প্রথম ধাপেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সৌদি-আরবের গোয়েন্দা সংস্থা ও দেশটির সম্রাটের কানেকশানের বিষয়টি সামনে এসেছে। ১৯৯৬ সালের রমজান মাসে ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালানো হয়। তবে তৎকালীন আমি শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হন।

তৎকালীন পুলিশ প্রধান ও সাবেক আমির শেখ হামাদ বিন জসিম বিন হামাদ আল থানির চাচাত ভাই এই ব্যর্থ ক্যুর সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অভ্যুত্থানকে টিকিয়ে রাখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন, শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ, আরব আমিরাতের সেনাবাহিনীর তৎকালীন প্রধান এবং আবুধাবির বর্তমান যুবরাজ।

এ ছাড়া যোগসাজশকারীদের মধ্যে অন্যরা হলেন, বাহরাইনের শেখ হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সুলতান বিন আবদুল আজিজ ও মিশরের গোয়েন্দা দলের প্রধান ও দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।

জানা যায়, ওইদিন একদল সশস্ত্র গ্রুপকে শেখ হামাদের বাড়ি ঘেরাও করতে বলা হয়। এরপর তাকে গৃহবন্দি করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গৃহবন্দির পর তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার পরিকল্পনার কথা আল-জাজিরার কাছে স্বীকার করেছে ষড়যন্ত্রকারীদের একজন। শুধু তাই নয়, সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যারাক দখলে নেওয়ার পর সৌদি আরবের মিলিশিয়া বাহিনীকে দেশটিতে প্রবেশ করতে বলা হতো বলেও স্বীকার করে ওই ব্যক্তি।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্য থেকে কেউ ঘটনা গোপনে সম্রাটকে বলে দেওয়ায় এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/