ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গা শিশুদের ৪৩ হাজার বাবা-মা নিখোঁজ

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত বছরের আগস্টে দেশটির সেনাবাহিনীর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা শিশুদের ৪৩ হাজারের বেশি বাবা–মা নিখোঁজ রয়েছেন। আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) নামের একটি সংগঠনের এক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে ।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত এপিএইচআর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো জরিপের ভিত্তিতে নতুন ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনের জরিপের ফলাফল প্রমাণ করে, রাখাইনে নিহতের সংখ্যা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের স্বীকার করা সংখ্যার চেয়েও আরও অনেক বেশি।

নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর গত বছরের আগস্টের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে থাকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

চলতি বছরের ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি এপিএইচআর বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে চালানো তদন্তমূলক অনুসন্ধান শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সরকারি তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৮ হাজার তিনশো রোহিঙ্গা শিশু নিজেদের বাবা-মায়ের কমপক্ষে একজনকে হারিয়েছে। এছাড়া শিবিরের সাত হাজার সাতশো শিশু বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে। আর এই দুই সংখ্যা মিলিয়ে রোহিঙ্গা শিশুর নিখোঁজ হওয়া বাবা-মায়ের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭০০ জন।

প্রসঙ্গত, আগে ধারণা করা হতো বাংলাদেশের অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরগুলোতে ২ হাজার ৬৮০ জন রোহিঙ্গা শিশু বাবা-মা হারিয়েছে। কিন্তু এপিএইচআরের জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা আরও বেশি।

এপিএইচআরের সভাপতি ও মালয়েশিয়ার সংসদ সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো জানান, অনেক শিশুকে পাওয়া গেছে যাদের বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে। পথচারি অথবা প্রতিবেশীরা জ্বলন্ত ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে নিয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কমপক্ষে ৬ লাখ ৭১ হাজার রোহিঙ্গার অনেকেই বুলেটের আঘাত বয়ে নিয়ে এসেছেন। আবার অনেকেই বহন করছেন বিস্তৃত যৌন সহিংসতার প্রমাণ। পালিয়ে আসা এসব শরণার্থীদের ৬০ শতাংশই শিশু। আর এদের অনেকের সঙ্গেই বাবা-মা নেই।

সূত্র: টাইমডটকম

একে// এআর