ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নারী নির্যাতন বন্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ৮ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

দেশব্যাপী নারী নির্যাতন বন্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও র‌্যালিতে এ দাবি জানায় তারা। এসময় তারা বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নারী নির্যাতন বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশো এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শম্পা বসু। সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সামসুন্নাহার জ্যোৎস্না।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের চেতনার মূলে ছিল নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আহ্বান। নারীদিবস ঘোষণার ১০৭ বছর পর এবং মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পরও আমাদের দেশের নারীরা সমাজিক-পারিবারিক জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সম-অধিকার থেকে বঞ্চিত। এখনও সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়নি। কোন সরকারই সিডও সনদের দুটি ধারা থেকে আপত্তি তুলে নেয়নি। ‘সমকাজে সমমজুরি’ আইনে থাকলেও প্রায় সকল অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের (নির্মাণ কাজ, চাতাল, ক্ষেতমজুর ইত্যাদি) নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তার বাস্তবায়ন নেই। অন্যদিকে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে নারী নির্যাতন, নির্যাতনের ধরণ এবং নির্যাতিতের সংখ্যা।


বক্তারা আরও বলেন, পোশাকশিল্পে শতকরা ৬০ ভাগই নারী শ্রমিক। বাংলাদেশ পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ। আর বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৩ সালে অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর তাদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে হয়েছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা। এই ৪ বছরে বাড়িভাড়া বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে কিন্তু বেতন বাড়েনি! এই রাষ্ট্র এই সমাজ নারীদের ন্যূনতম যে মানবিক অধিকার তাই দেয় না; সম-অধিকার তো আরও দূরের কথা! তাই পোষাকখাতসহ অন্যান্য খাতে যাতে সমমজুরি নিশ্চিত করা হয় তার জোরালো দাবি জানানো হয়।

এমজে/