ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

যুব গেমসের জমকালো উদ্বোধনী আজ

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮ শনিবার

যুব গেমসের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আজ যুব গেমসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৫ কোটি টাকার ব্যয়ের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ ধরনের বল ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে একাধিক মশাল। বাজবে গেমসের গান।

খেলোয়াড়দের কুচকাওয়াজের পর দিক বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর নৃত্য বিভিন্ন ডিসপ্লের মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্য কৃষ্টি তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে পদ্মা সেতু মেগা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তুলে ধরা হবে দর্শকদের সামনে। গ্যালারী উন্মুক্ত থাকবে সর্বসাধারণের জন্য।

আনুষ্ঠানিকতার এই বিশালত্ব মূলত যুব গেমসেরই ব্যাপকতার ছাপ। মূল উদ্বোধনীর স্থায়িত্ব ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর আসন গ্রহণের আধঘণ্টা আগে থেকেই শুরু হবে অনুষ্ঠান। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত চলবে ডিজে শো। দেখানো হবে বাংলাদেশের খেলাধুলার অর্জনে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র। এছাড়া যুব গেমসের প্রথম পর্ব নিয়েও থাকবে প্রদর্শনী। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে যুব গেমসের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন সন্ধ্যা ৭টা ২১ মিনিটে। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া দুই সহস্রাধিক ক্রীড়াবিদের মিলন মেলা বসবে মাঠের মধ্যে তৈরি করা গ্যালারিতে। একপর্যায়ে আটটি বিভাগীয় দলের ব্যানারে তারা মার্চপাস্টে অংশ নেবেন। অলিম্পিক মশাল প্রজ্বালন করবেন কমনওয়েলথ ও সাফ গেমসের স্বর্ণজয়ী আসিফ হোসেন খান। অনুষ্ঠান শেষ হবে লেজার শো, পাইরো এবং আতশবাজির আলোকছটায়। এসবই অবশ্য অধিকাংশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গতানুগতিক আনুষ্ঠানিকতা। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, যুব গেমসের উদ্বোধনীর মূল আকর্ষণ থাকছে নান্দনিক উপস্থাপনায়।

উদ্বোধন মঞ্চের কাছে শোভা পাবে পদ্মা সেতুর অবয়ব। পদ্মার বুকে ইস্পাতের তৈরি যে মূল কাঠামো এখন বাস্তবে দৃশ্যমান, তারই প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। কেবল সেতু নয়, দেখা যাবে এলইডি বাতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা পদ্মার পানিও। নিচে স্রোতস্বিনী পদ্মা, আর ওপরে সেতু দিয়ে ধাবমান গাড়ি আর ট্রেন- দেখা মিলবে কল্পনায় থাকা এমন দৃশ্যেরও। পদ্মা সেতুর পাশাপাশি মঞ্চের অন্য পাশে থাকবে পাল তোলা এক নৌকা। ৪০ ফুট লম্বা এই নৌকায় থাকবে ছোট্ট একটি মঞ্চ। যে মঞ্চে চলবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মাসকাট প্যারেট, নৃত্য-সঙ্গীতের মাধ্যমে পারফরমাররা ফুটিয়ে তুলবেন দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানান রূপ।

বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানটি মাঠে বসেই দেখতে পারবেন যে কেউ। এ জন্য কোনো টিকিট কাটা লাগবে না।

/ এআর /