ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

নির্বাচকদের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ফারুকের

প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪৭ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮ শনিবার

বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সময়টা খারাপ যাচ্ছে। একের পর এক ম্যাচ হারছে দল, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও স্বস্তি নেই। যেন ঝিমিয়ে পরেছে সবাই। দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ এই পরিস্থিতির জন্য দুষছেন দল নির্বাচনকেও।

তাঁর মতে, দলটা থিতু হতে পারছে না। নির্বাচকেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। তাঁদের কোনো স্বাধীনতা নেই। মিনহাজুল আবেদীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফারুক।

বাংলাদেশ দলের সেরা সময়ে নির্বাচক হিসেবে কাজ করা ফারুক মনে করেন, ``ভালো টিম বানাতে হলে নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকাটা খুবই জরুরি। নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রথমেই ঠিক করতে হবে, কাকে নির্বাচক বানাবেন। তার যোগ্যতা কতটুকু আছে। আর সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না? বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা। বোর্ড নির্বাচকদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা দিয়ে দেখতে পারে। যদি এর মধ্যে ভালো ফল না আসে, তাহলে তো সেই নির্বাচক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সব ক্ষমতা বিসিবির আছে। আমি তো মনে করি এখনকার নির্বাচকদের ক্ষমতা খুবই কম। তারা স্বাধীনভাবে তো কাজ করতেই পারে না, তাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা হতে পারে।’

বোর্ড বর্তমান নির্বাচকদের জবাবদিহির বাইরে নিয়ে গেছে বলেই মনে করেন ফারুক, ‘আমাদের আবার আগের জায়গায় ফিরে আসা উচিত। আগে যেমন নির্বাচক কমিটি দিয়ে কাজ হতো, ঠিক তেমনই। কমিটি থাকলে জবাবদিহির ব্যাপার থাকে। এখন কোনো নির্বাচককে যদি দল নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন, সে কিন্তু বলতে পারবে না।’

বছর দেড়েক আগে ‘নির্বাচকদের কাজে হস্তক্ষেপ হচ্ছে’ অভিযোগ তুলেই দ্বিতীয় দফার প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। নিজের সিদ্ধান্তটা যে ঠিক ছিল, আজ সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছেন তিনি, ‘আমি জানতাম এমন কিছুই হবে। সে কারণে দেড় বছর আগে প্রধান নির্বাচকের পদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। দল যখন ভালো করে, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে না। দল যদি খারাপ করে, তখন সমস্যাগুলো সামনে চলে আসে। যদি নির্বাচক অনেক থাকে, তাহলে সমস্যা হবেই। তখন একজন বলবে, অমুককে নিলে ভালো হতো, আরেকজন বলবে, তাকে নাও। আসলে এমন পরিস্থিতিতে কে সিদ্ধান্তটা নিল, সেটা বোঝা যায় না। এখন আমরা দেখি, ম্যাচ শুরুর আগের দিন খেলোয়াড় ঢোকানো হচ্ছে। এটা নির্বাচকেরা কতটুকু জানেন, আমরা জানি না। পত্রিকায় পড়েছি, আসলে তাঁরা এসবের কিছুই নাকি জানেন না।’

দলকে আবারও সাফল্যের ধারায় ফিরিয়ে আনার উপায়ও বলে দিয়েছেন ফারুক, ‘যেকোনো ভালো কাজ আসলে এমনি এমনি হয় না। এর পেছনে একটা প্রক্রিয়া থাকে। এই প্রক্রিয়াটা থেকে বোধ হয় আমরা বেশ দূরে সরে এসেছি। এই জিনিসটা ঠিক করা দরকার। এই যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে ৩২ জন খেলোয়াড়কে ডাকা হয়েছে। তিন সংস্করণ মিলে খেলেছে ২৮ জন। এতে খেলোয়াড়েরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। দলটাকে থিতু করতে হবে। ২৮ জন খেলোয়াড়কে তিন সংস্করণে খেলানোর কোনো যুক্তিকতা নেই। ঠিক করতে হবে আমরা কোন খেলোয়াড়কে কোথায় খেলাতে চাই। দল নির্বাচনে ইদানীং খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে।’

কেআই/ এমজে