ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

দলের তহবিলে একদিনের বেতন দেন চাকরিজীবীরা

প্রকাশিত : ০৫:৪৫ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৮ রবিবার

১৯৭১ সালের ১১ই মার্চ। স্বাধীনতার স্বাদ পেতে ক্রমেই উন্মুখ হয়ে উঠে বাঙালিরা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে থাকে পূর্ব পাকিস্তান।

সেনাবাহিনীর বেষ্টনী ছাড়া সবখানেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে পাকিস্তানীরা। পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই বন্ধ রাখা হয় অফিস, আদালত, কলকারখানা, দোকানপাট। এ’দিন অসহযোগ আন্দোলনের জন্য আওয়ামী লীগের তহবিলে একদিনের বেতন তুলে দেন বাঙালী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

১৯৭১ সালে আগুন ঝরা মার্চের দিন যতই গড়ায়, ততই বাড়তে থাকে উত্তাপ। মুক্তির আকাঙ্খায় আন্দোলনে উত্তাল হয় পূর্ব পাকিস্তানের সব শ্রেণীপেশার মানুষ।

পশ্চিম পাকিস্তানীদের সামরিক প্রস্তুতির বিরুদ্ধে এ’দিন বঙ্গবন্ধুর বিবৃতি উত্তাল করে সংগ্রামী জনতাকে। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে কঠোর শৃঙ্খলার আহ্বান জানান পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ। তার দেয়া ৩৫টি নির্দেশ জারির পর সে মোতাবেকই পরিচালিত হতে থাকে দেশ। অফিস বর্জন করে অসহযোগ আন্দোলনে শরিক হন হাইকোর্টের বিচারপতি ও প্রশাসনের সচিবসহ সর্বস্তরের কর্মচারিরা। এদিন, আওয়ামী লীগের তহবিলে একদিনের বেতন তুলে দেন বাঙালী সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারিরা।

এদিকে, ঢাকা সফর শেষে করাচি ফিরে সংবাদ সম্মেলন করেন অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খান। সেখানে তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানই কার্যত এখন ঢাকার শাসক।

এ’দিন বরিশাল কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ২৪ জন কয়েদি। কুমিল্লা থেকে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ৫ জন।