ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৮ ১৪৩১

সফল ক্যারিয়ার গড়তে হকিং এর পরামর্শ

প্রকাশিত : ০৯:৪০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:১৯ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮ বৃহস্পতিবার

গত পরশুদিন বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান স্টিফেন হকিং। পৃথিবীর অন্যতম সফল এই পদার্থবিজ্ঞানী অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছেন অনেকের। জীবিত থাকতে সফল ক্যারিয়ার গড়তে কিছু পরামর্শ দিয়ে গেছেন এই বিজ্ঞানী।

স্টিফেন হকিং বলে গেছেন, “যে কাজটি অর্থবহ এবং যে কাজটির একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে সেই কাজটিই করতে হবে”।

২০১০ সালে এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন তিনি। এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজকে দেওয়া ঐ সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক ডেয়ান সোয়্যার প্রশ্ন করেছিলেন, “ক্যারিয়ার গড়তে আপনার সন্তানদের আপনি কী পরামর্শ দেবেন?” উত্তরে হকিং বলেছিলেন, “আমি তাদেরকে এমন কাজই করতে বলব যে কাজটি অর্থবহ এবং যে কাজটির একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেই কাজটিই করতে হবে। সেই কাজটি ছাড়া জীবন শূন্য”।

আজ স্টিফেনহীন এই দুনিয়ায় স্টিফেন হকিং এর বলে যাওয়া বাণীর যথার্থতা খোঁজার চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন বিবিসি। তারা কথা বলেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠিক আচরণ এবং নেতৃত্ব বিষয়ের অধ্যাপক স্যালি মেইটলিসের সাথে। তিনি বলেন, “আপনি যা করছেন তা যদি আপনি ভালবেসে করে থাকেন তাহলে ছোটখাট সমস্যা আপনাকে বিরক্ত করবে না অথবা সেসব সমস্যা আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। একজন মানুষের মত একটি সংস্থারও উচিত তারা যে কাজটি করছে তা ভালবেসে করা”।

“তবে কাজটি যদি শুধু আপনার আত্মকেন্দ্রিক হয় তাহলে তা ক্ষতিকর হবে”।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক কিরা স্ক্যাবরামের সাথে করা এক গবেষণার প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করেন অধ্যাপক স্যালি মেইটলিস। উত্তর আমেরিকার ৫০ জন পশুপালকের ওপর করা সে গবেষণার সূত্র ধরে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি যে, যারা তাদের কাজ ভালবাসে তারা নির্ধারিত সময়ের থেকে অধিক সময় নিয়ে কাজ করে, স্বেচ্ছাশ্রমে অনেক ভারি আর কঠিন কাজও করে এবং নিজেদের থেকেই আইডিয়া শেয়ার করে। আর যারা ভালবাসা থেকে কাজটি করে না তাদের ক্ষেত্রে ঘটনা ভিন্ন। এরা বেশিদিন কাজ করতে পারেনি”।

গবেষণা বলছে, ভেতর থেকে ভাল লাগা যে কাজটিতে কাজ করে সে কাজটির মধ্যে একধরনের ইতিবাচক প্রভাব থাকে।

গত মাসে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে, “লক্ষ্য যতই বড় হোক, ক্যান্সার মুক্তি থেকে সহকর্মীকে সাহায্য করা পর্যন্ত , কাজের মাঝে সার্থকতা খুঁজে পাওয়াটা কর্মক্ষেত্রে শান্তি বয়ে আনে”।

স্টিফেন হকিং তাঁর কাজের মধ্যে সে ধরনের সার্থকতাই খুঁজে পেয়েছিলেন। বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ব্যাপক উৎসাহ এবং মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে তার সীমাহীন আকর্ষণের কারণেই হয়তো তিনি হতে পেরেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা পদার্থবিজ্ঞানী।

সূত্র: বিবিসি

//এস এইচ এস//টিকে