ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

একাত্তরে এই দিনে

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:১২ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮ মঙ্গলবার

আজ ২০ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ’দিন রাজপথে ডামি রাইফেল নিয়ে কুচকাওয়াজ করে ছাত্র ইউনিয়ন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে প্রাক্তন বাঙ্গালি সৈন্যরা। এই দিনে হঠাৎই ঢাকা আসেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো। অন্যদিকে চলে ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের প্রস্তুতি। এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।

১৯৭১ সালের আজকের দিনে মুহুর্তে মুহুর্তে বাঁক বদল হচ্ছিলো ইতিহাসের গতিপথের। পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় ঘটে অভাবনীয় ঘটনা। ছাত্র ইউনিয়নের কয়েকশ’ কর্মী ডামি রাইফেল নিয়ে শুরু করে কুচকাওয়াজ। এ সময় সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদের শোষণ থেকে স্বাধীন- সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে গণবাহিনীকে শপথ পড়ান সংগঠকরা। 

গাজীপুর ও জয়দেবপুরের সশস্ত্র আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে, পাড়া মহল্লায়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসে শত শত মানুষ। দিনব্যাপী চলে সভা সমাবেশ।

এদিন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আমন্ত্রণে কড়া নিরাপত্তায় প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকা আসেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো। এই খবরে রাজধানীসহ সারা বাংলায় ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শ্লোগান ওঠে, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো; বাংলাদেশ স্বাধীন করো।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন আহমেদ গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনে যান ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করতে। বৈঠকে জয়দেবপুরে নিরীহ বাঙালীর উপর সৈন্যদের নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানান বঙ্গবন্ধু। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দেন। কিন্তু এসবই যে কেবল আনুষ্ঠানিকতা এবং কালক্ষেপণ তা বুঝতে কষ্ট হয়নি কারও। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন শেখ মুজিবুর রহমান। আর স্বাধীনতার মন্ত্রে নতুন সূর্য ছিনিয়ে আনার প্রত্যয়ে দুর্বার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে বীর বাঙালী।

একে// এআর