ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ২১ মার্চ ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০১:৩৬ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৮ বুধবার

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট থিন কাইও। দেশটির প্রেসিডেন্টের দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কি কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে কিছু খোলাসা করেননি থিন কাইও। স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখিয়ে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।

প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘থিন কাইও ২১ মার্চ পদত্যাগ করেছেন। এ মুহূর্তে তিনি শারীরিক নানা জটিলতায় ভোগছেন। তাই তিনি এখন বিরতি চান। এজন্যই থিন কাইও পদত্যাগ করেছেন’।

থিন কাইও এমন একটি সময় পদত্যাগ করলেন যখন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দেশটি নানা সমস্যায় ভোগছে। একদিকে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি অন্যদিকে তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপ-সব মিলিয়ে উভয় সংকটে ভোগছে দেশটির সরকার।

জানা যায়, ৭১ বছর বয়সী থিন কাইও ২০১৬ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করলেও, কার্যত তিনি ছায়া প্রেসিডেন্ট হয়ে ছিলেন। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অংসান সু চি-ই পর্দার অন্তরালে থেকে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

থিন কাইওর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পরই দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মিয়ান্ট সোকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। দেশটির সাবেক জান্তা সরকার অংসান সু চিকে প্রেসিডেন্টের পদে বসতে নানা বাধা নিষেধ আরোপ করে রেখেছে।

থিন কাইও সু চির ছেলেবেলার বন্ধু ছিলেন বলেন জানা গেছে। এ ছাড়া দীর্ঘ এ রাজনৈতিক পথচলায় থিন কাইও সু চির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। যতদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন, ততদিন সু চির সবচেয়ে বিশ্বস্তের তালিকায় ছিলেন।

সূত্র: বিবিসি
এমজে/