ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

৩১ মার্চেই বেসিস নির্বাচন

শাওন সোলায়মান

প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৮ বুধবার

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্ধারিত ৩১ মার্চেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাহী কমিটির ২০১৮-২০২০ মেয়াদের নির্বাচন। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্বাচন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বেসিসের নির্বাচন হতে তাই আর কোন বাঁধা থাকল না।

এর আগে সংগঠনটির ১১ জন নেতার দাখিল করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বেসিস নির্বাচন ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সৈয়দ আলমাস কবীরের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটিকে এই সময়ের দায়িত্বে থাকতে বলা হয়। তবে আজ বুধবার ফিরতি এক আদেশপত্রে পূর্বের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ইটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ আলমাস কবীর।

বেসিসের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন স্থগিতাদেশের খবর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় বেসিস নেতাদের মধ্যে। বিকেল থেকে গভীর রাত অবধি বিভিন্ন নেতারা পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেন। বিভিন্ন প্যানেল আর স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নেতারা ঐ ১১ জন নেতার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরও জানা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সরাসরি হস্তক্ষেপে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে সম্মত হন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বেসিসের বর্তমান কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে ‘টিম হরাইজন’ প্যানেলের নেতৃত্ব দেওয়া সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “এখন আর চিন্তার কিছু নেই। নির্বাচন হচ্ছে। গতকাল নির্বাচন স্থগিতাদেশ পেলেও নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই আমি আশাবাদী ছিলাম। বেসিসের জ্যেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আর মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভাইদের আন্তরিকতার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের কারণেই এই নির্বাচন শেষমেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে”।

তিনি আরও বলেন, “আমাকে, আমার প্যানেলকে বিব্রত করতেই কিছু সদস্য নেতা এমনটা করেছিলেন। তবে তারা ব্যর্থ। অন্য সবাই যেমন চায় এই নির্বাচনটা হোক, আমিও তেমনই চাই”।

নির্বাচন বানচালে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সৈয়দ আলমাস কবির।

এদিকে নির্বাচন বাতিল চেয়ে আবেদন করা ঐ ১১ জন সদস্যকে বেসিস থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতা।

আজ বুধবার বেসিস কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আবারও নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।

 টিকে