ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্টের সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা

প্রকাশিত : ০৭:০৯ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:১০ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৮ শুক্রবার

মিয়ানমারের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট সে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর লেখা সংবিধান সংশোধন করবেন। আজ শুক্রবার মিয়ানমারের পার্লামেন্টে দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দেন উইন মিন্ট।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ঘনিষ্ঠ সহচর উইন মিন্ট। সামরিক শাসন আমলে তিনি রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন। গত বুধবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট থিন কিউ পদত্যাগ করলে মিন্ট প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৫ সালে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দীর্ঘ সেনাশাসনের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করে।

অবাধ নির্বাচনে জয় লাভ করলেও সাংবিধানিক বাধার কারণে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি অং সান সু চি। সংবিধান অনুযায়ী, মিয়ানমারের কোনো নাগরিক বিদেশিকে বিয়ে করলে ওই সংবিধানে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির স্বামী ব্রিটিশ নাগরিক। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।   

এমন সমস্যা সমাধানে সু চির জন্য নতুন একটি পদ তৈরি করা হয়। নাম দেওয়া হয় স্টেট কাউন্সেলর। এতে বলা হয়, তিনি প্রেসিডেন্টেরও ওপরে।

নতুন প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট সোজা কথার মানুষ হিসেবে পরিচিত। আজ পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনেও সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলে তার সহজাত অবস্থানের জানান দিলেন। তিনি বলেন, তার কাজ হবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ঐক্য পুনঃস্থাপন এবং সংবিধান সংশোধন।

এসি