ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

হাজিয়া সোফিয়ায় কোরআন তিলাওয়াত এরদোগানের

প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার

তুরস্কের সবচেয়ে বড় নগরী ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া। স্থানটি আন্তঃধর্মীয় কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। হাজিয়া সোফিয়ায় এবার কোরআন তিলাওয়াত মোনাজাত করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

শনিবার একটি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এরদোগান প্রথম কোরআনের কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত করেন। এরপর পূর্বপুরুষদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এসময় তিনি ইস্তাম্বুল বিজয়ীদের জন্য তিনি দোয়া করেন।

উল্লেখ্য, হাজিয়া সোফিয়া স্থানটি আন্তঃধর্মীয় ও কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ষষ্ঠ শতকে খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শাসনামলে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন এটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

কিন্তু ১৪৫৩ সালে উসমানীয় খলিফাদের কাছে কনস্টান্টিনোপেলের পতন ঘটলে সেটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৩৫ সালে তুর্কি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের প্রতিষ্ঠাতা মসজিদটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন। বর্তমান সরকারের আমলে সেটিকে আবারো মসজিদের রূপে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বেশ কয়েক বছর ধরে তুর্কি মুসলমানরা সোফিয়ায় নামাজ আদায় করছেন। তারা জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া হাজিয়া সোফিয়ায় গত ৮৫ বছরের মধ্যে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো একজন আলেম কোরআন পাঠ করেন। এর পর থেকে প্রতি বছর রমজানে সেখানে কোরআন পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

 প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, এটি আমাদের আবেগের জায়গা, পবিত্র স্থান। হাজিয়া সোফিয়ায় বক্তৃতা দেওয়া খুবই কঠিন।

এদিকে জায়গাটিকে ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করায় গত বছর প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রিস। দেশটি বলছে, এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবমাননা করার শামিল।

অবশ্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিসের এ প্রতিবাদের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রিস ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেন, অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ স্থান হাজিয়া সোফিয়া। জায়গাটির ঐতিহাসিক মর্যাদা রক্ষার জন্য তিনি তুরস্কের কাছে আহবান জানিয়েছেন।

সূত্র : হুরিয়াত ডেইলি।

আর / এআর