ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল চীনা মহাকাশ পরীক্ষাগার

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:২৭ এএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

চীনের অকেজো মহাকাশ গবেষণাগার টিয়ানগং-১ পৃথিবীতে ভেঙে পড়েছে। ৮ টন ওজনের বিশাল এ মডিউলটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর অধিকাংশ পুড়ে যায়। এরপর তা টুকরো হয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে। আজ সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ৮টা ১৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ২টা ১৬ মিনিট) এটি ভেঙে পড়ল।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গবেষকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীতে ভেঙে পড়বে চীনের মহাকাশ গবেষণাগার তিয়ানগং-১। তবে সঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারেননি। অবশেষে আজ সেটি ভেঙে পড়ল।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মডিউলটির সঙ্গে চীনের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল বলে এর পতনের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তবে পৃথিবীতে ভেঙে পড়া নিয়ে বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দেন গবেষকেরা।
টিয়ানগং-১টিয়ানগং-১যুক্তরাজ্যের মহাকাশ সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী রিচার্ড ক্রোথার বলেছিলেন, বিশাল ওজনের টিয়ানগং-১ মডিউলটি পৃথিবীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়লেও তা থেকে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কম। কারণ এটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগেই পুড়ে যাবে। এর টুকরো অংশ সমুদ্রে পড়তে পারে। এটি কবে ও কখন পৃথিবীতে পড়বে, সঠিক সময় পরে জানা যাবে।
হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক জোনাথান ম্যাকডোয়েলের তথ্যানুযায়ী, মানুষের তৈরি নিয়ন্ত্রণহীন ৫০ তম বস্তু হিসেবে পৃথিবীতে পড়ল টিয়ানগং।
২০১১ সালে মহাশূন্যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে এ মডিউলটি পাঠায় চীন। ২০২২ সাল নাগাদ মহাশূন্যে মহাকাশ স্টেশন তৈরির লক্ষ্যে এ মিশন শুরু করে দেশটি।
২০১৬ সালেই ১০ মিটার দীর্ঘ টিয়ানগং মডিউলটির সঙ্গে চীনা গবেষকেদের সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসছিল। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নেতৃত্বে ১৩টি মহাকাশ সংস্থা রাডারসহ নানা অপটিক্যাল যন্ত্রপাতি দিয়ে ওই মডিউলটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

/ এআর /