ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

বিএনপি’র চার নেতাকে গ্রেফতার কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

আপিল বিভাগের নির্দেশনা না মেনে বিএনপি’র চার নেতাকে গ্রেফতার কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও এ রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার এক রিট আবেদনের  প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রমনা জোনের পুলিশের উপ-কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত কমিশনার, দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার, পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনারসহ মোট ১৪ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিএনপি’র এই চার নেতা হলেন— দলের যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউর রহমান বাবু, ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান রাজ, তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন। এর মধ্যে মিলন পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, একেএম এহসানুর রহমান, মীর হেলাল প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে,  ৬ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং ঢাকা তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে, ৮ মার্চ ছাত্রদলের ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান রাজকে সাদা পোশোকে গ্রেফতার করা হয়।

মিলনকে শাহবাগ থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই সময় মিলনের পরিবার তার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। পরে ১২ মার্চ মিলনের পরিবার জানতে পারে, মিলনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে।

এসব ঘটনায় বিএনপির এই চার নেতার বিষয়ে গত ২৯ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার রিটটি দায়ের করেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজুদ্দিন আহমেদ । সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।

কেআই/টিকে