ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডার খুলছে ৩৪ বছর পর

প্রকাশিত : ০২:৪৫ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

ভারতের ধনীতম দেবস্থানগুলোর মধ্যে পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের নাম রয়েছে তালিকার উপরের দিকেই। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দিনে ৩০ হাজারেরও বেশি ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে। মন্দিরের দুটি ‘রত্ন ভাণ্ডার’ রয়েছে— ভিতর ভাণ্ডার ও বাহির ভাণ্ডার। যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে সাজানোর জন্য বাহির ভাণ্ডারের অলংকারই ব্যবহৃত হয়।

জানা গেছে, রত্ন ভাণ্ডারের মোট সাতটি কক্ষ রয়েছে। কিন্তু তার বেশির ভাগই বন্ধ থাকে। ১৯৮৪ সালে মাত্র তিনটি কক্ষ খোলা হয়েছিল পরিদর্শনের জন্য। তার পরে কেটে গেছে দীর্ঘ ৩৪ বছর। তাই রত্ন ভাণ্ডারের পরিকাঠামোর পরীক্ষা নিরীক্ষা করার আদেশ দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকেই ভারতের আর্কিওলজিকাল সার্ভে (এএসআই) পুরীর মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে।

কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ৪ এপ্রিল জগন্নাথদেবের রত্ন ভাণ্ডারে প্রবেশ করবেন ১০ জন ব্যাক্তি। ওই সময়ে মন্দিরে কোনও ভক্তকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যে দশ জন ভাণ্ডারে প্রবেশ করবেন, তার মধ্যে থাকবেন পুরী মন্দিরের গজপতি মহারাজ ও এএসআই-এর দু’জন আধিকারিক।

এ জন্য শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। কোর্টের নির্দেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিতে হবে। যে তিনজন ঢুকবেন, তাদের প্রত্যেকের পরনে থাকবে শুধুমাত্র একটি গামছা। মোবাইল, ক্যামেরা বা অন্য কিছু নিয়ে ভাণ্ডারে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভাণ্ডারে প্রবেশের সময় এবং বেরিয়ে আসার সময়, দু’বারই তাদের দেহ তল্লাশি করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক প্রদীপ জেনা। মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রধান জানান, ওই ১০ ব্যাক্তি ভাণ্ডারের পরিকাঠামো পরীক্ষার জন্য দেওয়ালে হাত দিলেও, অলংকার স্পর্শ করতে পারবে না।

ভাণ্ডারের ভেতরে গিয়ে পরিদর্শকদের যাতে নিঃশ্বাসের কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনকী, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে যারা সাপ ধরে। এত বছরের বন্ধ ঘরে এই সরীসৃপ থাকলেও থাকতে পারে! কারণ, ১৯৮৪ সালে তিনটি কক্ষের পরিদর্শেনর সময়ে সাপের উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন পরিদর্শকরা। সূত্র: এবেলা

 

আর