ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আন্দোলনকারীদের

প্রকাশিত : ১২:১৬ এএম, ৯ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১২:২৩ এএম, ৯ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলনকারীরা সোমবার থেকে সারাদেশে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করার অনুরোধ জানিয়েছে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

রাজধানীর শাহবাগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থীকে।

ওই সময় শিক্ষার্থীরা চারুকলা ও ছবিহাটের মাঝের সড়কে রাস্তায় টায়ার পোড়ায়। পুলিশ তাদের দিকে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারীরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে আগুন জ্বালায়।  

এ সময় পুলিশ কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। একজন আন্দোলনকারী সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ডিএমসি) ভর্তি করা হয়।

রাত ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। চারুকলা থেকে টিএসসি পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পুলিশ চারুকলা গেটের সামনে থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে। 

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর এ একে এম গোলাম রব্বানি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে সরে যেতে বলেন। তিনি পুলিশকে ঢাবি সীমানা থেকে ফিরিয়ে আসতে বলেন। তবে পুলিশ যখন পিছিয়ে যাচ্ছিল তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশ আবারও তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও দুই গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই শতাধিক পুলিশ পাবলিক লাইব্রেরির গেটের সামনে অবস্থান নেয়। শাহবাগের চারুকলা থেকে তখন শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে।

এসি