ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর মিলল দুই বান্ধবীর লাশ 

প্রকাশিত : ১২:১২ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর নার্গিস আক্তার (৪২) ও ময়না বেগম (৫০) নামের দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা দু`জন পরস্পর বান্ধবী ছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে শোল্লা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আওনা চকের একটি পুকুর থেকে ওই দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।  

নার্গিস আক্তার যন্ত্রাইল গ্রামের ইমান আলীর এবং ময়না বেগম পাশের আজিজপুর গ্রামের জামাল খানের স্ত্রী।

স্থানীয়  পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এক নারী পুকুরে পানি আনতে গিয়ে ওই দুই নারীর লাশ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, লাশ দুটি ফুলে উঠেছে এবং পচন ধরেছে। তাই কোনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে এটা হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নার্গিস আক্তারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নার্গিস আক্তারের মুঠোফোনে একটি ফোন আসে। এ সময় নার্গিসের বাড়িতে ময়না বেগম উপস্থিত ছিলেন। মুঠোফোনে কথা শেষ হওয়ার পর তাঁরা দুজন ঘর থেকে বের হন। পরে নার্গিসের মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। ময়নার মুঠোফোন খোলা থাকলেও কেউ ফোন ধরেনি। তাঁদের খুঁজে না পেয়ে ১০ এপ্রিল রাতে নার্গিসের ছেলে তানভীর আহমেদ ওই দুজনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদ গণমাধ্যমকে  বলেন, তার মা নার্গিস বেগম ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার মাকে তার বাবা ইমান আলী হত্যা করেছেন বলেও তানভীর অভিযোগ করেন।  

নয় বছর ধরে মায়ের সঙ্গে তার বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে। তার বাবা এ বাড়িতে থাকেন না। পাঁচ বছর আগে বাড়িতে এসে তার মাকে (বাবা ইমান আলী) বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় তানভীর তার মাকে বাঁচিয়েছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁর বাবা মাকে হত্যার হুমকিও দেন।

ময়না বেগমের মেয়ে শিপন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে তার মা ময়না বেগম বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ছয়টায় মায়ের সঙ্গে তার কথা হয়। এর এক ঘণ্টা পর একাধিকবার ফোন দিলেও তার মা ফোন ধরেননি । তবে তার মায়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই বলে জানান শিপন। তার মাকে যারা হত্যা করেছেন, তাদের শনাক্ত করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান শিপন আক্তার। 

কেআই/এসি