ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২

গাজীপুর-খুলনা সিটি নির্বাচন

নগরপিতা হতে চান ১২জন

প্রকাশিত : ০৭:৫১ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয় যাচাই বাছাইয়ের প্রথম দিন ছিল আজ। যাচাই বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন। সকাল এগারোটায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে এ যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন ১০ জন। এর মধ্যে এক জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচনী কার্যালয়। এছাড়া অন্য দু`জনের মনোনয়ন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

সে হিসেবে আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ন্দ্বিতা করছেন সাত জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি`র মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

এছাড়াও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫৭ টি ওয়ার্ডে ২৯৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৮৭ জন নারী সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। উল্লেখ্য প্রতি তিন ওয়ার্ডে একজন নারী সদস্য কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হবেন।

এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনেও মনোনয়ন বাছাইয়ের প্রথম দিন ছিল আজ। যাচাই বাছাই শেষে  রিটার্নিং অফিসার ইউনুস আলী যাচাই বাছাইয়ের অবস্থা ঘোষণা করেন। মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে কোনো ত্রুটি না থাকায় পাঁচ জনকেই বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েক জন নারী সদস্য প্রার্থী প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় আগামীকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

সে হিসেবে নারী সদস্য প্রার্থীরা নির্বাচন করার সুযোগ পেলে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত দশ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৮ জন নারী প্রার্থী। আর সাধারণ ৩১ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরছেন ১৮৯ জন সদস্য প্রার্থী।

উল্লেখ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২০১২ সালে গঠিত হয়। এটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশনটির প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। আগামী ১৫ মে এ দুটি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আআ/টিকে