ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

কোটা সংস্কার

‘নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আন্দোলনকারীরা’

প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৪:৪৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

সরকারি চাকরিতে বিদ্যামান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের হত্যাসহ নানা ধরণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এসব কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন কোটা আন্দোলন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান।

আজ সোমবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন।

যদিও ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিষদের তিন নেতাকে তুলে নেওয়া হয় নি বরং নিরাপত্তার কারণে এবং কিছু তথ্য জানতে ডেকে আনা হয়েছিল।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, মেধাবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এসে আমাদের হত্যার হুমকি পেতে হচ্ছে। আমাদেরকে চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেওয়ায় আমরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি। আমাকে যখন তুলে নেওয়া হয় তখন পৃথিবীতে ফিরে আসবো এমন কোনো আশা ছিল না। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা মেধাবীদের অধিকার আদায় করতে এসে নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমরা কোন দেশে বাস করছি।

রাশেদ আরও বলেন, আমার কি অন্যায় ছিলো যে কারণে আমার বাবা মাকে আজ পুলিশ আটক করছে। অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করছে।  আমার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তোর মতো সন্তানের জন্ম দেওয়ায় আজ আমার এ অবস্থা।  কি করেছিস তুই যে, আমাকে থানায় আসতে হলো।

এসময় সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সংবাদ সম্মেলনের সময় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশে হাকিম চত্বরে সাদা পোশাকে ৮-৯ ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তিন ছাত্রকে দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ডিবি তাদের তুলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘তাদের কিছু তথ্য সহযোগিতার জন্য আনা হয়েছিল। তারা চলে গেছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিলো তাদেরকে অন্য মহল হামলা করতে পারে। যে কারণে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা তুলে এনেছি। এছাড়া তাদের কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। তাদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।’ সবার কাছ থেকেই তথ্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

/এআর /