ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

নিউইয়র্কে উদ্যান জলাধার নির্মাণে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:৫০ এএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

নিউইয়র্কে গড়ে তোলা হচ্ছে অভিনব নগর-উদ্যান। বর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা রোধে গড়ে তোলা হচ্ছে এ উদ্যান। মাত্র কয়েক ফুট জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠছে এটি। এর ভিতে রয়েছে একটি জলাধার, যা একসঙ্গে পানি সংগ্রহ ও উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই উদ্যান পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি পানি বিশেষজ্ঞ সুফিয়ান খন্দকার। তার নকশায় ইতোমধ্যে প্রায় এক হাজার জলাধার নির্মাণ শেষ হয়েছে বা নির্মিত হচ্ছে।

জানা যায়, নিউইয়র্ক সিটি ২০১০ সালে ‘সবুজায়ন’ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়কের ধারে বায়োসোয়েল নামে পরিচিত এই ভূগর্ভস্থ ক্ষুদ্র জলাধার গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাইরে থেকে এটি একটি ক্ষুদ্র উদ্যান। আর তার ঠিক নিচেই রয়েছে জলাধার বা পাকা চৌবাচ্চা। রাস্তায় জমে থাকা পানি যাতে ভূগর্ভস্থ চৌবাচ্চায় গড়িয়ে পড়ে, তার জন্য রাখা আছে বিশেষ ড্রেনের ব্যবস্থা। অতিরিক্ত পানি জলাধার থেকে বের করে দেওয়ার জন্যও রয়েছে বিশেষ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।

সুফিয়ান খন্দকার দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্ক শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের বড় বড় শহরগুলোতেও এরকম উদ্যান গড়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে এক দিকে জলাবদ্ধতা হ্রাস করা সম্ভব হবে। আর অন্য দিকে নগরের সৌন্দর্যবর্ধন সম্ভব হবে। খুব জটিল ও ব্যয়বহুল কোনও প্রযুক্তি ছাড়াই এই জলাধার-উদ্যান নির্মাণ সম্ভব বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, অতিবৃষ্টির ফলে শহরের রাস্তায় জমে যাওয়া পানি নিয়মিত ড্রেন ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্কাশন করা যায় না। এর ফলে অতিরিক্ত পানি নিকটস্থ নদী বা জলাশয়ে প্রবেশ করে। পানির সঙ্গে সব ধরনের বর্জ্যও সেখানে মিলিত হয়। পর্যাপ্ত সংখ্যায় বায়োসোয়েল নির্মাণ সম্ভব হলে এই সমস্যা বহুলাংশে কাটানো সম্ভব হবে। ঢাকায় জলাবদ্ধতা ক্রমেই জটিলতর হয়ে পড়ছে। তাই এই অবস্থায় এ সহজ পদ্ধতির ব্যবহার একসঙ্গে নানা সমস্যার সমাধান করবে বলে মনে করেন সুফিয়ান।

একে// এসএইচ/