ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে বই পড়ার বিকল্প নেই

প্রকাশিত : ১০:৩৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আলোকিত নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে বই পড়ার বিকল্প নেই। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ  তৈরিতে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। সোমবার  রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আলোকিত প্রজন্মের জন্য সৃজনশীল বই পড়ার গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ২৫০টি উপজেলায় ১২ হাজার ১১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৭ পর্যন্ত ৮৩ লাখ ছাত্রছাত্রী বই পড়ার সুযোগ পেয়েছে। স্কুল-মাদরাসার লাইব্রেরিগুলোতে ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার বই দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে আরও ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার কপি বই বিজয়ী পাঠকদের দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ২৫০টি উপজেলার ১৪ হাজার সহকারি লাইব্রেরিয়ান/সহকারি শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্ব বই দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বইপড়া কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রায় ১০ হাজার উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া লাইব্রেরি উন্নয়নের পরিকল্পনাসহ দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ এবং বইপড়ার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান,বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কো-টিম লিডার শরীফ মো. মাসুদ ও টিভি ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান।

কেআই/