ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ২ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার

দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত এগিয়ে নেয়া এবং সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় জানিয়ে, সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। দেশের ইতিহাসে সবচাইতে বড় তিন লাখ ৪০ হাজার ৬শ’ ৫ কোটি টাকার বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। প্রতিবারের মত বাজেট পেশের আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হয় জাতীয় সংসদের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে দেশের ৪৫তম বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের দশম বাজেট দিতে সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। নতুন বাজেট গত বছরের মূল বাজেট থেকে ১৫ শতাংশ এবং সংশোধিত আকার থেকে ২৯ শতাংশ বড়। চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের মাইলফলক স্পর্শ করায় অর্থমন্ত্রীর আগামীবারের লক্ষ্য৭ দশমিক ২ শতাংশ। বাজারে গিয়ে মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে ধরে রাখতে দৃঢ় প্রত্যয়ী তিনি। বিনিয়োগ না বাড়ার কথা স্বীকার করে এবার উন্নতির লক্ষণও দেখছেন অর্থমন্ত্রী। আগের অর্থবছরের চেয়ে ৬৫ হাজার কোটি বেশি আয়ের অংক কষে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তা হবে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ঘাটতি বাড়লেও আয় ও ব্যয় বৃদ্ধির হারের সঙ্গে তুলনা করলে তা খুব বেশী নয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী। নতুন বাজেটে অনুন্নয়নমূলক খাতে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ খরচ। হিসেবে এনেছেন দেশীয় ঋণের সুদ বাবদ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচের। অন্যদিকে, উন্নয়নমূলক ব্যয় রাখা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকির পরিমাণও অনেকটা কমিয়ে এনেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে অর্থমন্ত্রী মুসক, কর এবং শুল্কসহ এনবিআরের আয় ধরেছেন ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এনবিআর ছাড়া অন্যান্য কর ৭ হাজার কোটি টাকা, করবহির্ভূত খাত থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার অনুদান পাওয়ার আশাকে অর্থমন্ত্রী যোগ করেছেন আয়ের খাতায়। ঘাটতির ৯৭ হাজার কোটি টাকার ৬১ হাজার কোটিই অর্থমন্ত্রী নেবেন অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৩৮ হাজার কোটি টাকা, উচ্চ সুদ দিয়েও প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির বিকল্প নেই অর্থমন্ত্রীর সামনে। ত্রিশ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণে বাকি ঘাটতি পূরণ করতে চান তিনি। বাজেট প্রস্তাবনায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি এক করে দেখানো হয়েছে বলে এখাতেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। বাস্তবে জনপ্রশাসনের পরেই সুদ বাবদ রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। এরপর পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এসব বিষয় নিয়ে আগামী একমাস আইনপ্রণেতারা সংসদে আলোচনা করবেন পুনর্বিবেচনার জন্য।