ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

বুধবার কবি বেলাল চৌধুরীকে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত : ০৬:০৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুধবার শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস গণমাধ্যমকে জানান, হাসপাতাল থেকে কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার পল্টনের বাসায়। সেখানে গোসল শেষে মরদেহ রাখা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের হিমঘরে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কবির মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কফিন রাখা হবে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর শর্শদিতে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।

ষাটের দশকের স্বনামধন্য কবি বেলাল চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কিডনি জটিলতা, রক্তশূন্যতা ও থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ে গত চার মাস ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৮০ বছর বয়সী বেলাল চৌধুরী।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পর দিন তাকে নেওয়া হয় লাইফসাপোর্টে। সব আশা নিভে যাওয়ার পর মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১ মিনিটে লাইফসাপোর্ট খুলে নেন চিকিৎসকরা।

বেলাল চৌধুরী একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ‘ভারত-বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন তিনি। রূপালী গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ’ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেন।

বেশ কয়েক বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’-এ চাকরি করেন।

২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।

কবি বেলাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’।

এসএইচ/