ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঐতিহাসিক বৈঠকে কিম জং-মুন

প্রকাশিত : ১০:১৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৫২ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৮ শুক্রবার

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া পৌছেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমের ওই সীমান্তে শুক্রবার ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করেন কিম জং-উন। পরে দুই নেতা বৈঠকে বসেন পানমুনজমের এক বাড়িতে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস হাউস’।

দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা, সম্পর্কের টানাপোড়েন আর উত্তেজনার অচলায়তন পেরিয়ে উত্তরের নেতা দুই দেশের মিলিটারি লাইনে পৌঁছালে দক্ষিণের নেতা মুন তাকে স্বাগত জানান। কিমের অভাবনীয় এক তাৎক্ষণিক আমন্ত্রণে মুনও সীমারেখা টপকে উত্তরের মাটিতে পা রাখেন।

 

১৯৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিও কোনো রাষ্ট্র প্রধান দক্ষিণ কোরিয়ায় পা রেখেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া সফরে কিমের সাথে আছেন ৯ জন সদস্য। এদের মধ্যে তার বোন কিম ইয়ো জং-ও আছেন। প্রথমে সীমান্ত সীমানার উত্তর কোরিও অংশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন’কে নিজ অংশে আমন্ত্রণ জানান কিম। এরপর সেখান থেকে হাত ধরাধরি করে দক্ষিণ কোরিও অংশে আসেন দুই নেতা।

দক্ষিণ কোরিও অংশে এসে পৌছালে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ কিম জং উনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনারে অংশ নেওয়া সদস্যদের শরীরে এসময় দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী পোষাক দেখা যায়। সেখান থেকে তারা আলোচনার জন্য সীমান্ত প্বার্শবর্তী ‘পিস ভবনে’ যান।

পিস ভবনে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে এসময় কিম জং উন লেখেন, ‘নতুন ইতিহাস এখন শুরু হল। এটি ইতিহাসের সূচনা ক্ষেত্র এবং শান্তি স্থাপনের নতুন যুগ’।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এক তাৎক্ষণিক মন্তব্যে কিম বলেন যে, ‘আশা করছি যে, আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে খুব ‘খোলামেলা এবং উদার’ আলোচনা হবে।

 

বৈঠকে যা হবে

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই শীর্ষ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু থাকবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম। সেই সাথে কিম জং উনের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক বিষয়েও আলোচনা হবে দুই পক্ষে।

সকালের আলোচনা পর্বের পর উত্তর কোরিয়া প্রতিনিধিরা দুপুরের খাবারের জন্য নিজ অংশে ফেরত যাবেন। এরপর বিকেলে সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় একটি বৃক্ষরোপন করবেন দুই দেশের নেতারা। ‘শান্তি ও প্রগতি’র নিদর্শন হিসেবে গাছটির চারা রোপনে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মাটি ও পানি ব্যবহার করা হবে।

এরপর দুই শীর্ষ নেতা আরো একবার আলোচনায় বসবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তবে চুক্তির বিষয়বস্তুর কী হবে তা এখনও জানা যায়নি। রাতে দক্ষিণ কোরিও অংশে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের ব্রীফ করবেন এই দুই রাষ্ট্রনায়ক।

এদিকে কিমের দক্ষিণ কোরিয়া আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাক্ষাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক পটভূমি হিসেবে কাজ করবে এই বৈঠক। সূত্র: বিবিসি

//এস এইচ এস//