ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মোবাইল ফোন ব্যবহার: ঘাড়ে ব্যথা হলে যা করবেন

প্রকাশিত : ১০:৪৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে ঘাড়ে ব্যথা ইদানিং কালে মহামারী আকার ধারণ করেছে। স্মার্টফোনের যুগে স্মার্ট হতে গিয়ে অধিকাংশ সময় ঘাড় গুঁজে চোখ ফেলে রাখেন মোবাইল ফোনের পর্দায়।ফলে হতে পারে ঘাড় ব্যথা,শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তি। এর প্রতিকারে রয়েছে বেশ কিছু পন্থা।

এসব অস্বস্তি থেকে রক্ষা পেতে কয়েকটি পন্থা জানিয়েছেন ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের স্পাইন সার্জন ও কনসালটেন্ট আগনিভেশ তিকো এবং ওয়ারাকহার্ড হাসপাতালের  জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট’য়ের  প্রধান সার্জন নিরাজ কাসাত।

আসুন জেনে নিই কীভাবে ঘাড়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন? 

* সঠিকভাবে বসা ও দাঁড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। বসা কিংবা দাঁড়ানো অবস্থায় শরীরের সঠিক অবস্থান ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। দাঁড়ানোর সময় ঘাড় ও শরীর যেন এক রেখায় থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

* মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় ঘাড় নিচু বা বাঁকা করে না তাকিয়ে বরং ঘাড় সোজা রেখে ফোনটা চোখ বরাবর নিয়ে আসুন। এতে মাথা ও ঘাড়ের উপর চাপ কম পড়বে।

* স্মার্টফোনে কয়েক মিনিটের বেশি সময় একটানা তাকিয়ে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রতি ২৫ মিনিট পরপর বিরতি নিতে হবে।

* অফিসে কাজ করার সময় আরামদায়কভাবে বসার ব্যবস্থা করে নিতে হবে। এতে শরীর যেমন ভালো থাকবে তেমনি কাজের গতিও বাড়বে।

* কম্পিউটারে বসে কাজ করার সময় কিছক্ষণ পরপর ঘাড় ঘোরান। এতে মাংসপেশিগুলো শিথিল হওয়ার সুযোগ পাবে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

* একই হাতে দীর্ঘসময় কোনো কিছু ধরে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে হাত বদল করতে হবে বারে বারে।

* ঘাড় ও কাঁধের ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে পেশির শক্তি বাড়বে, অবস্থান সঠিক থাকবে। তাই কাজের ফাঁকে ব্যায়ামগুলো করার অভ্যাস করতে হবে।

* ঘাড়ের ব্যথা দূর করতে বরফ কিংবা গরম পানি ব্যাগে ভরে স্যাঁক দিতে পারেন। কিছু ফিজিশিয়ান দুই পদ্ধতি ক্রমানুসারে ব্যবহারের পরামর্শও দেন।

* একজন বিশেষজ্ঞ কিংবা ঘরে বসে সাধারণ মালিশ পেশির শক্তভাব ও ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী।

* প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে কাজে লাগাতে পারেন ওই প্রযুক্তিকেই। কোন অবস্থানে কতক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন তার উপর নজর রাখে এমন অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

এতকিছুর পরও ব্যথা যদি দীর্ঘদিন ধরে ভোগায় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

কেআই/