ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

মৃত্যুর আগে সর্বশেষ যে তত্ত্ব দিয়েছিল হকিং

প্রকাশিত : ০৭:২৮ পিএম, ৩ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

একবিংশ শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে নতুন এক তত্ত্ব দিয়ে গেছেন এই বিজ্ঞানী। নিজের দেওয়া সর্বশেষ এ তত্ত্বে তিনি দাবি করেন যে, আমাদের এই বিশ্বজগৎ আমাদের মতই আরও কোন বিশ্বজগতের একটি উদাহরণ। অর্থ্যাৎ অজানা এই বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডে আমাদের মত ইউনিভার্স আরও আছে।

মহাজাগতিক বিবাদ সম্পর্কিত যে তত্ত্ব এর আগে স্টিফেন দিয়েছিলেন তাকেই সমর্থন করে স্টিফেনের সর্বশেষ তত্ত্বটি। একই সাথে এই তত্ত্বের ফলে, মহাকাশচারীরা আমাদের বিশ্বজগতের সমান্তরালে চলমান অন্য বিশ্বজগত খুঁজে পাবেন বলেও দাবি তার।

চলতি বছরের ১৪ মার্চ মৃত্যুর ১০ দিন আগে হাই এনার্জি ফিজিক্স জার্নালে তার গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন স্টিফেন হকিং।

১৯৮০ সালে মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী জেমস হার্টলের সাথে ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্ব দিয়েছিলেন ব্রিটিশ এই বিজ্ঞানী। সেখানে তারা বলেছিলেন যে, শূণ্য থেকে বিশাল এক বস্তুর সৃষ্টি হয়। পরে ব্যাপক এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে বস্তুটি ফেঁটে যায়। বের হয়ে আসা এমনই এক অংশ দিয়ে গঠিত হয়েছে আমাদের বিশ্বজগত; আমাদের পৃথিবী।

সর্বশেষ দেওয়া গবেষণা পত্রে স্টিফেন হকিং যুক্তি দিয়েছেন যে, যে বিস্ফোরণ থেকে আমাদের বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়েছে সেই একই বিস্ফোরণ দিয়ে আরও বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

সেখানকার পৃথিবী অবশ্য আমাদের পৃথিবীর থেকে আলাদা হতে পারে। সেখানে হয়তো এখনও ডায়নোসর বিলুপ্ত হয়নি। এমনকি সেখানে আমাদের পৃথিবীর মত সূর্য, চাঁদ, তাঁরা নাও থাকতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানের প্রচলিত নিয়ম ও সূত্র কাজ নাও করতে পারে সেই পৃথিবীগুলোতে।

গবেষণার এই পর্যায়ে এসে বেলজিয়ামের অধ্যাপক থমাস হারটগের সাহায্য নিয়েছিলেন হকিং। বিবিসিকে থমাস জানান, “গবেষণা নিয়ে আমি অথবা হকিং কেউই খুশি ছিলাম না। গবেষণা আমাদেরকে বলছিল যে, আমাদের বিশ্বজগতের মত আরও বিশ্বজগৎ হয়তো আছে। কিন্তু এর ব্যাপারে খুব বেশি কিছু আমরা বলতে পারি না। তখন আমরা একে অপরকে বললাম যে, হয়তো আমাদেরকে এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই বাস করতে হবে। তবে আমরা হার মেনে নেয়নি”।

এই জার্নালে যে গবেষণা পত্রটি মৃত্যুর আগে স্টিফেন দাখিল করেছেন সেটি অধ্যাপক থমাসের সাথে তার দীর্ঘ ২০ বছরের গবেষণার সারাংশ। এর ফলে ‘স্ট্রিং থিওরি’ নামের নতুন এক বিষয় পদার্থবিজ্ঞানে যুক্ত হতে যাচ্ছে।

এসএইচএস/টিকে