ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ছাত্রলীগের সোনালী অতীত ফেরাতে চান ইমরান

প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ১০ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

‘ডাকসু নির্বাচন আমাদের প্রাণের দাবি। আমিও চাই ডাকসু নির্বাচন হোক। যদি আমি নেতৃত্বে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমি ছাত্র সমাজের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবো।’

এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন কে এম ইমরান। আসন্ন ছাত্রলীগের সম্মেলনে যে কয়জন প্রার্থী শেষ সময়ে এসে তুমুল আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। মেধাবী, পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা হিসেবে তার সুনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে সারা দেশের ছাত্র সমাজের মধ্যে।

কে এম ইমরান ছাত্রলীগের সম্মেলনে যথেষ্ট আলোচনায় থাকলেও তার অভিব্যক্তি অন্যরকম। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শুধু ছাত্রলীগ নয়; বরং পুরো দেশ তাকিয়ে থাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে। তিনি আমাদের আস্থার বাতিঘর। কে নেতা হবেন- এ ব্যাপারে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের রমজানকাঠী গ্রামের সন্তান কেএম ইমরান। তার বাবা মো. শাহজাহান খান বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা লালনকারী একজন বীর-মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

কেএম ইমরানের বাবা শাহজাহান খান- এর পরিবারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাদের নির্দেশনায় ১১ দফা আন্দোলনে যোগদান করেন এবং হাতে লিখে সেই দফা বিলি করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সম্পর্কে তার বাবার ফুপাতো ভাই। নানা আব্দুল মজিদ শিকদার ছিলেন বাবুগঞ্জ আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠক। মামা মোস্তফা কামাল শিকদার বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান ছিলেন। ভাই মোঃ রায়হান খান কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য। চাচাতো ভাই আরিফুর রহমান খান ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ইমরান খান তার পরিবার থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতির দীক্ষা নেন বলে জানা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ছাত্র রাজনীতিতে কে এম ইমরানের উথান একদিনে নয়। বরং রাজনীতির প্রবল নেশা তাকে নিয়ে আসে রাজধানী ঢাকায়। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হন।

মেধা ও যোগ্যতার বলে প্রথমে জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মনোনীত হন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যায় এবং সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন তিনি। ফলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিপুল সমর্থন নিয়ে জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনোনীত হন। অক্লান্ত পরিশ্রম ও রাজপথ কাঁপানো নেতৃত্ব দিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের নজর কাড়তে সক্ষম হন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে।

নেতৃত্বে আসলে তিনি কী পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম ইমরান বলেন, ছাত্রলীগের একটা সোনালী অতীত আছে। আমি সেই অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে চাই। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করতে চাই। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা যেনো ছাত্রলীগের উপর আস্থা রাখতে পারে সেই ইমেজ গড়ে তুলতে লড়াই করবো।

উল্লেখ্য আগামীকাল (১১মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উনত্রিশতম সম্মেলন।