ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ৪

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার

মুহূর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ। ইট-পাটকেল আর দেশীয় অস্ত্রের ঝনঝনানি। চারদিকে হৈ-হুল্লোড়-চিৎকার। ব্যালট-বাক্স ছিনতাই ও আগুন। রক্তের ছুপছুপ দাগ লেগে আছে ব্যালটের গায়ে। চারদিকে হাউমাউ চিৎকার গণ্ডগোল। এটাই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের চিত্র। পশ্চিমবঙ্গের ২০টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।

সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। শুরুতেই বিরোধীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। ভোটদানে বাধা, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে ঢুকতে বাধা, ব্যালটে জোর করে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের। এর মধ্যে কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুরসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে এ ধরনের অভিযোগ এসেছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নামখানায় গতকাল রোববার রাতে এক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুনে সিপিএম কর্মী দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সিপিএম নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

জানা গেছে এ পর্যন্ত সহিংসতায় নদীয়ার শান্তিনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী নিহত হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতে তৃণমূলের আরও এক কর্মী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মুর্শিদাবাদে একজন এবং উত্তর চব্বিশ পরগনাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এক সন্ত্রাসী কায়দায় রাজ্যব্যাপী শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার নির্বাচন হচ্ছে একদফায়। অর্থাৎ, এক দিনে—আজ সোমবার। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মোট আসনের ৩৪ শতাংশে শাসক দল ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নেওয়ায় আজ ভোট হচ্ছে ৬৬ শতাংশ আসনে।

জানা গেছে, ৫ কোটি ভোটারের মধ্যে ভোট প্রয়োগ করছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ। ভোট হচ্ছে ৪৩ হাজার ৬৭টি ভোটকেন্দ্রের ৪৭ হাজার ৪৫১টি বুথে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ হাজার ৮২৭টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। মোট প্রার্থী ১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৯ জন। থানা পর্যায়ের পঞ্চায়েত সমিতির ৬ হাজার ১৫৭টি আসনে প্রার্থী সংখ্যা ২২ হাজার ৩৬২ জন।

আর জেলা পরিষদের ৬২১টি আসনে প্রার্থী সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৪ জন। এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তৃণমূলের ৩১ হাজার ৭০৯ জন, বিজেপির ২২ হাজার ৬৩৭ জন ও বামদলের ৫ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থী। থানা পর্যায়ের পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের রয়েছে ৬ হাজার ১১৩ জন, বিজেপির ৪ হাজার ৯৫০ জন ও বামদলের ৪ হাজার ৩৮১ জন প্রার্থী।

সূত্র: এনডিটিভি
এমজে/