ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এবার গৃহবন্দি নাজিব রাজাক!

শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে:

প্রকাশিত : ১০:৫২ পিএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:৫৪ পিএম, ১৪ মে ২০১৮ সোমবার

মালয়েশিয়ায় ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে সদ্য ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বেসরকারি বাসভবন চারদিক থেকে ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। ওই বাড়িটি মালয়েশিয়ার তামান দুতায় জালান লাঙ্গাক দুতায় অবস্থিত।

জানা গেছে, রোববার সকাল থেকেই সেখানে পুলিশি উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ওই বাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়ার পথগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইন। এ বিষয়ে পুলিশের সেন্টুল উপপ্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক মোহাম্মদ মুস্তাফার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বার্নামা এ সংবাদ দেয়।

মুস্তাফা জানান, সেন্টুল পুলিশ স্টেশনের পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিরাপত্তা মনিটরিং করতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিষয়টি যাচাই করার চেষ্টা করে বার্নামা। তাতে দেখা যায়, নাজিব রাজাকের বাস ভবনে প্রবেশ পথে অবস্থান করছে ৫ জন পুলিশ সদস্য। সেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।  এ ছাড়া রয়েছে একটি মোবাইল পুলিশ স্টেশন। ওই এলাকা দিয়ে যত গাড়ি ও ব্যক্তি যাচ্ছেন তাদের সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বুধবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভয়াবহ ভরাডুবি ঘটে মালয়েশিয়ায় টানা ৬১ বছর ক্ষমতায় থাকা বারিশান ন্যাশনাল জোটের। এর জন্য দায়ী করা হয় নাজিব রাজাককে। তার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালে নিজের জোট বারিশান ন্যাশনাল থেকে পদত্যাগ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।

তারপর তিনি নাজিব রাজাককে ক্ষমতাচ্যুত করতে হাত মেলান এক সময়ের ঘোর ‘শত্রু’তে পরিণত হওয়া আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে। চুক্তি হয় তাদের মধ্যে। তার ফল পান তিনি নির্বাচনে। তবে নাজিব রাজাকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি  হয়েছে ‘১এমডিবি’ রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে প্রায় ৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাইরে থেকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রকাশ করা হয়।  তখনই নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন মাহাথির মোহাম্মদ। ওই বিষয়টি তদন্ত করার আগে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেন নাজিব। ফলে তার ঘনিষ্ঠজনরা ওই কেলেঙ্কারির তদন্ত করেন।

নাজিবের সেই দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে বারিশান ন্যাশনাল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মাহাথির। এখন সেই দুর্নীতি দেখাশোনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে একজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার কথা মাহাথিরের। ফলে নাজিব রাজাক দায়মুক্তি পাবেন এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এখন দেখার ব্যাপার এই রাজনীতির পানি গড়ায় কতদূর।

টিকে