ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কৃত্রিম উপগ্রহের বড় হুমকি আর্বজনা!

প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১৫ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতিনিয়ত পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। তবে এসব কৃত্রিম উপগ্রহের সবক`টি কিন্তু সক্রিয় নয়। ছয় দশকের মহাকাশ অভিযানে অনেক স্যাটেলাইট অকেজো হয়ে গেছে। মহাকাশে জমা হয়েছে ভাঙা, বাতিল ও অকেজো স্যাটেলাইট ও রকেটের টুকরো। এগুলো কিন্তু পৃথিবীকে সক্রিয় স্যাটেলাইটের মতোই প্রদক্ষিণ করছে। আর কৃত্রিম এই উপগ্রহগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্বজনা।

এগুলো নভোচারীরে জন্য যেমন বিপদজ্জনক তেমনি সক্রিয় কৃত্রিম উপগ্রহের জন্যও ক্ষতিকর। ছোট্ট একটা ধাক্কা লাগলে যে কী ঘটতে পারে, তা সহজেই কল্পনীয়। অতি ক্ষুদ্র ধাতব টুকরোগুলোও মহাকাশযানের বহিরাবরণে বড় বড় বিপজ্জনক ফুটো করে দিতে পারে। বর্তমানে প্রায় ২৮ হাজার এ ধরনের বাতিল ধাতুর টুকরো কক্ষপথে ঘুরপাক খাচ্ছে! কিন্তু ভবিষ্যতে এমন দাঁড়াতে পারে যে, স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে। আবার কক্ষপথে যেসব স্যাটেলাইট আছে এর মধ্যে ৩৮ ভাগই অচল!

জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস) ১৪ বছর ধরে পৃথিবী পরিক্রমণ করে চলেছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায়, ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার গতিতে।

কেফলারের একটি আস্তরণ আইএসএসকে মাইক্রো-মেটেওরাইটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাচ্ছে। কিন্তু যেসব নভোচররা মাসের পর মাস মহাকাশযানটিতে কাটান, তাদের পক্ষে সবচেয়ে বড়বিপদ হলো মহাকাশের `ডেব্রিস` বা `স্ট্ক্র্যাপ` অর্থাৎ বাতিল বা অকেজো স্যাটেলাইটের টুকরো। আইএসএস তীব্র গতিতে মহাশূন্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, আবার মহাকাশের আবর্জনার গতিরোধ করার জন্য বাতাসের প্রতিরোধ পর্যন্ত নেই। রকেটের বিভিন্ন নিঃশেষিত পর্যায় অথবা অকেজো স্যাটেলাইটগুলোকে সরাতে না পারলে কোনো না কোনো সময় এই মহাকাশ আবর্জনার পরিমাণ বেড়ে যাবে।

কৃত্রিম উপগ্রহগুলো একটা জালের মতো পৃথিবীকে জড়িয়ে রেখেছে- মাধ্যাকর্ষণের ফলে তাদের বা পৃথিবীর এ বাঁধন থেকে মুক্তি নেই। মোবাইল টেলিফোন থেকে শুরু করে জিপিএস বা টেলিভিশন- সব কিছু চলে এই স্যাটেলাইটগুলোর কল্যাণে। তবে এ ধরনের বাতিল স্যাটেলাইট অপসারণে নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন গবেষকরা। অনেক স্যাটেলাইট জ্বালানির অভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।

গবেষকরা দেখছেন, নতুন করে জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে এ ধরনের স্যাটেলাইটকে সচল করা যায় কি না। তবে যেটিই হোক মহাকাশকে সুরক্ষিত রাখতে অচল স্যাটেলাইট অপসারণ জরুরি।

এসএইচ/