ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

সেনাবাহিনী থাকলে এই দশা হতো না: ফখরুল

প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ১৫ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩৭ পিএম, ১৫ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকলে এমন দশা হতো না। জয়-পরাজয় আলাদা একটি বিষয়। এই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। 

খুলনায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।     

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিপক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। এজেন্টদের বের করে দেওয়া হবে— এটা নির্বাচন হতে পারে না। ফখরুলের অভিযোগ, খুলনায় জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হয়েছে। সব সময় বলা হয়েছে কোথাও কোনো সমস্যা নেই। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচনে সিইসি বিএনপির প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করেছে। এই সরকার পুলিশকে বিরোধী দলের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বেশির ভাগ জায়গায় পুলিশই উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের উদ্যোগে এসব ঘটনা ঘটছে; যা দেশ-জাতির জন্য ভয়াবহ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই পাঁচ বছরে তারা যতগুলো নির্বাচন করেছে, কিছু নির্বাচন ছাড়া সব নির্বাচনই তারা নিয়ন্ত্রণ করেছে। নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করেছে। তারা নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নির্বাচনব্যবস্থার ওপর কারও আস্থা থাকছে না।

খুলনায় বিএনপি খুব শক্তিশালী সংগঠন দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী বহু ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। খুলনা মহানগর আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। শুধু নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে, তাদের অযোগ্যতার কারণে, পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের কারণে সেখানে আজ বিএনপি দাঁড়াতে পারেনি।

ফখরুলের অভিযোগ, প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী সন্ত্রাসীরা বুকে নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে সাধারণ ভোটারদের পর্যন্ত আসতে দেয়নি। বিএনপির কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়নি। পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। নৌকায় সিল মেরেছে। এ অবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন। 

এসি