এবার দুর্নীতির জালে আটকা পড়েছে নাজিব রাজাক
প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ২২ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:১২ পিএম, ২২ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

দুর্নীতির দায়ে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ধাক্কা হিসেবে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনে নাজিবকে তলব করা হয়। নাজিব রাজাক দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হলে ১ কোটি ৫ লাখ ডলারের রাষ্ট্রীয় সম্পদ কিভাবে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান মহুদ শুকরি আবদুল সাংবাদিকদের বলেন, কেবল জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাকে ডাকা হয়েছে, গ্রেফতারের জন্য নয়। আমরা যদি তার উত্তরে সন্তুষ্ট হয়, তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় ফের তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
নাজিব রাজাক দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হলে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় এসিসির প্রধান মহুদ শুকরি আবদুল বলেন, ২০১৫ সালে ওই মামলা দায়েরের পর সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। এরপর থেকেই সাক্ষীদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই নাজিব রাজাককে এসিসিতে ডাকা হয়েছে।
এদিকে মহুদ শুকরি আরও বলেন, ‘ওই মামলা চলাকালে আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, আমাকে দ্রুত চাকরি থেকে দ্রুত অবসর গ্রহণের জন্যও চাপ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি শেষে আমাকে প্রশিক্ষণ বিভাগে বদলির কথা বলা হয়েছিল। তাই, এই মামলাকে প্রভাবিত করার নানা অপচেষ্টা দেখা যায়। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই নাজিব রাজাককে তলব করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, এসআরসি একটি রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিষয়ক তহবিল। অভিযোগ রয়েছে, এই তহবিলের আওতায়, সরকারি কর্মকর্তারা অন্তত সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী দল অভিযোগ করে, নাজিক রাজাকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন নাজিব রাজাক।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/