ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ মিলছে এমপি-মন্ত্রীদের!

প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ২২ মে ২০১৮ মঙ্গলবার

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রথমবারে মতো প্রচার প্রচারণার সুযোগ মিলছে এমপি মন্ত্রীদের। এ সংক্রান্ত একটি বিধিমালা চুড়ান্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বৃহস্পতিবার  ইসির বৈঠকে আলোচন হবে সেখান থেকে বিধিমালা প্রস্তাবটি চুড়ান্ত অনুমোদ দেওয়া হবে ।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন আগেই আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সংশোধন প্রস্তাবটি অনুমোদনের এবং কার্যকর করার বিষয় আগ্রহী কমিশন।

এদিকে গত রোববার আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল গত রোববার গাজীপুর সফরে গিয়ে দলের  একটি সভা করায় তার ইঙ্গিত দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রচারে সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে সেই বাধা শিগগিরই কাটছে। সিটি করপোরেশ নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ মিলছে এমপিদের। সিটি নির্বাচনের সময় এমপিরা যাতে প্রচার চালাতে পারেন তার পক্ষে মত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। এ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

১২ এপ্রিল আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে এ সংক্রান্ত বিধি নিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানায়। তবে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এমপিদের প্রচারণার চলানোর বিপক্ষে মত দিয়েছে।

 

ইসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপিরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করাসহ নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারের সুযোগ পাবেন। তবে ভোটের দিনে ওই এমপি শুধু ভোটকেন্দ্র ভোট দিয়ে বাসায় চলে যাবেন। ওই দিন তিনি কোথাও অবস্থান করতে পারবেন না। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারের সময় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বা অন্য কোনো প্রটোকলও পাবেন না।

এব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ও আইন, বিধি-বিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি কবিতা খানম  বলেন,  আওয়ামী লীগ থেকে একটি প্রস্তাবনা আমাদের কাছে এসেছে।এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিন্ধান্ত হয়ে জানানো হবে।

এ বিষয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে। আমরা বলতে চাই, এটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন হবে, আইনের লঙ্ঘন হবে, নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে।

 টিআর/ এসএইচ/