ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘টম এন্ড জেরির’ সঙ্গে তুলনা করলেন রুহানি

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ২৪ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৫৮ পিএম, ২৪ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

পারমাণবিক ইস্যুতে তেহরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার ঘোষণাকে ঐতিহাসিক ভুল বলে আখ্যা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। শুধু তাই নয়, দেশটির উপর মার্কিন নয়া নিষেধাজ্ঞাকে জনপ্রিয় কার্টুন টম এন্ড জেরির সঙ্গে তুলনা করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা।

যু্ক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় রুহানি বলেন, ট্রাম্প ঐতিহাসিকভাবে হেরে গেছেন। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউরোপের দেশগুলোকে চুক্তি বহাল রাখতে ছয় শর্ত জুড়ে দিয়েছেন রুহানি। রমজান মাস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ শর্তগুলো জুড়ে দেওয়ার কথা বলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই ব্যর্থ হবে। আর জনপ্রিয় কার্টুন টম এন্ড জেরির বিড়ালের যেভাবে পতন ঘটে, মার্কিনিদেরও ঠিক সেভাবেই পতন ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে তুলনা করেন রুহানি।

এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পম্পেই ইরানের উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন পরই রুহানি এ মন্তব্য করেন। রুহানি আরও বলেন, যদি ইউরোপ এই চুক্তি রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে ইরান আবার তার পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করবে। এটা কেউ আটকাতে পারবে না। আয়তুল্লাহ আল খামেনি আরও বলেন, ইরানি বিপ্লবের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে আসছে।

পারমাণবিক চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে তেহরানকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধসহ ১২টি শর্ত জুড়ে দেয় মাইক পম্পেই। এরপরই ইউরোপীয় মিত্রদের লক্ষ্য করে ছয় শর্ত জুড়ে দেওয়ার কথা বলেন রুহানি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পরই ইউরোপীয় মিত্ররা তার বিরোধীতা করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু বিষয়ে তাদের আপোষের ঘটনায় হতাশ জানিয়ে রুহানি বলেন, যদিও জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এই চুক্তি রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে আমরা বাস্তবতার ভিত্তিতে বলছি, তাদেরকে আরও সতর্ক হতে হবে। আমরা কোনো সম্ভাবনাই বিশ্বাসী নয়, বাস্তবতায় বিশ্বাসী।

আর এ জন্যই দেশটি তিন শক্তিকে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার উপর যে নিষেধাজ্ঞা বা বিপত্তি রয়েছে তাকে আটকে দেওয়ার শর্ত দিয়েছে। পাশাপাশি ইরানের তেল পুরোপুরি বিক্রির নিশ্চয়তা দিতে হবে তাদের। যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের তেলের বাজার ধ্বংস করতে চায়, আমরা যেন যতদূর চাই ততটুকু তেল বিক্রি করতে পারি, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। ইউরোপীয়ান দেশগুলো যদি আমাদের এই দাবি গুলো না মেনে নেয়, তাহলে আমাদের পারমাণবিক কার্যক্রমে কোনো ধরণের হস্তক্ষেপ করার অধিকার তাদের থাকবে না।

সূত্র: গার্ডিয়ান
এমজে/