ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে করণীয়

প্রকাশিত : ০৫:০৬ পিএম, ২৫ মে ২০১৮ শুক্রবার

মশাবাহিত সংক্রামক রোগ ম্যালেরিয়া। সংক্রমিত স্ত্রীজাতীয় অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়, যা জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তবে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধেও নেওয়া যায় নানা ব্যবস্থা

কারণ:

সংক্রমিত অ্যানোফিলিসজাতীয় স্ত্রী মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া শুরু হয়। পরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু লালার মাধ্যমে প্রোটেস্টের সংবহনতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং যকৃতে পৌঁছে। সেখানে তারা পরিপক্ব হয় এবং বংশ বৃদ্ধি করে। এই মশা যখন অন্য কাউকে কামড়ায়, তখন তার রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায় এবং সেও আক্রান্ত হয়। অ্যানোফিলিস ছাড়াও ভাইভক্স, ওভালে বা ম্যালেরির—যেকোনো একটি জীবাণু বহনকারী মশার দংশনেও ম্যালেরিয়া হতে পারে। ম্যালেরিয়াবাহী মশা মূলত সন্ধ্যা থেকে ভোরের মধ্যে কামড়ায়।

লক্ষণ:

কারো ম্যালেরিয়া হলে কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগের প্রধান লক্ষণ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা। জ্বর ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। তবে অনেক সময় জ্বর আসা-যাওয়া করে নিয়মিত ও নির্দিষ্ট বিরতিতে (যেমন একদিন পর পর জ্বর এসে তা তিন-চার ঘণ্টা দীর্ঘ হতে পারে)। এরপর ঘাম দিয়ে জ্বর কমে যায়। এগুলো ছাড়াও ম্যালেরিয়া রোগের কিছু উপসর্গ রয়েছে। 

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে করণীয়:

১/ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকায় বাসিন্দাগণ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে প্রদত্ত কীটনাশকযুক্ত মশারি ব্যবহার করুন।

২/ ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলকায় ভ্রমণ /অবস্থানকালীন সময় মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

৩/ ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকায় রাত্রি যাপন করতে হলে মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমান। অথবা সম্ভব হলে স্প্রে করে মশা বিতাড়িত করুন।

৪ রাতের বেলায় বাইরে গলে হাত-পা ঢাকা থাকে, এমন কাপড় পরিধান করুন। মশা তাড়ানো ক্রিম/ লোশন ব্যবহার করুন।

৫/ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বাড়ির আশপাশের ঝোড় ডোবা নালা পুকুর ও গর্ত পরিস্কার রাখুন।

৬/ ম্যালেরিয়া সর্ম্পকে জানুন নির্ভয়ে থাকুন ও ভ্রমণ করুন। ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে কোন সেবার জন্য হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করুন (01787691370)।

টিআর/ এমজে