ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রোজায় গ্যাস্ট্রিক রোগীরা কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ২৬ মে ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৪:১৭ পিএম, ২৭ মে ২০১৮ রবিবার

ডা. সোহেলা আখতার

ডা. সোহেলা আখতার

কালের পরিক্রমার পথ ধরে মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে প্রতিবছর আগমন করে পবিত্র মাহে রমজান। দীর্ঘ এগারটি মাসের পাপ পঙ্কিল থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এই রমজান। এই রমজানের আসলে আমাদের  খাদ্যভাস অনেকটাই পরিবর্তন হয়। এ কারণে কিছু সময় রোজা পালনে কিছু সমস্য দেখা দেয়। নিময় মেনে খাবার নিলে এসব রোগ ও সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য দরকার একটু বাড়তি সর্তকতা।

সম্প্রতি একুশে টিভি অনলাইনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেলা আখতার এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।

তিনি জানান, রমজানরে নিয়মিত রাখলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায়। গ্যাস্ট্রিক রোগীরা কিছু নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ্যভাবে রোজা পালন করতে পারবেন।

একুশে টিভি অনলাইন: অনেকেই আছেন গ্যাস্ট্রিকের ভয়ে রোজা রাখেন না। তাদের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কি?   

ডা. সোহেলা আখতার: পবিত্র রমজান মাস আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে রহমত স্বরূপ। এ মাসে ধারাবাহিকভাবে রোজা পালন করলে শরীরের অনেক রোগ বালাই ভালো হয়ে যায়। এমনকি গ্যাস্টিকের মতো রোগ এ মাসে নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতার। সঠিক নিয়ম না মেনে রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

একুশে টিভি অনলাইন: রোজায় গ্যাস্ট্রিক রোগীদের খাবার-দাবার কেমন হবে?

ডা. সোহেলা আখতার : গ্যাস্ট্রিক রোগীদের উচিত হবে ইফতার-সেহরিতে তৈলাক্ত খাবার পরিত্যাগ করা। বেশি মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। চা-কফি একদমই পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবারও এড়াতে হবে ইফতারে। ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না কোনো ভাবেই। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে পুরোপুরি।

সেহরিতে বিরিয়ানি, কাবাব কিংবা ফাস্টফুড জাতীয় কোনো ভারী খাবার খাওয়া যাবে না।

এছাড়া ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কমপক্ষে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত এ সময়ের মধ্যে। ইফতারে সেদ্ধ, ঝোল, সালাদ, স্যুপ, ভাত এ ধরনের খাবার খেতে হবে।

একবারে বেশি ইফতার না খেয়ে প্রয়োজনে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

তারাবির পর অল্প হলেও খেতে হবে। খাবার মেন্যুতে সুষম রাখতে হবে। রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না।

ঘুমানোর দেড় ঘণ্টা আগেই খেয়ে নিতে হবে। খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। সেহরির মেন্যুতে কম মশলার ঝোলযুক্ত খাবার রাখুন। সহজে হজম হয় এমন খাবার বেছে নিন সেহরির জন্য।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের সময়সূচি পরিবর্তন করে নিন।

একুশে টিভি অনলাইন:  আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ডা. সোহেলা আখতার: একুশে টিভি অনলাইন পবিবারও ধন্যবাদ।

/ এআর /