ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীর রোজা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ২৯ মে ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৫ পিএম, ৩০ মে ২০১৮ বুধবার

প্রতি বছরের ন্যায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে পবিত্র রমজানুল মোবারক। রোজার মাস নিঃসন্দেহের অন্যান্য মাসগুলো থেকে মাহাত্ম্যের দাবি রাখে। এ মাসে আমাদের উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সঙ্গে নিজেকে সুস্থ্য রাখা।

অন্য ১১ মাসের থেকে রমজান মাসের খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তনে আনতে হয়। এজন্য মাঝেমধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃরোগীরা নানা ধরনের ঝুঁকিতে পড়েন।

এমতাবস্থায় পরিকল্পিত ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আমরা সুন্দরভাবে রমজান মাস পার করতে পারি। এমনটাই জানিয়েছেন ইউনাইটেড হাসপাতালের  চীফ ডায়েটিশিয়ান চৌধুরী তাসনীম হাসিন। সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে রমজানে খাদ্যভাস নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শ্রুতিলিখন করেছেন- তবিবুর রহমান

একুশে টিভি অনলাইন : রমজানে সুস্থ থাকতে সেহরিতে আমরা কি ধরনের খাবার খেতে পারি?

চৌধুরী  তাসনীম হাসিন: আমরা ১১টা মাস বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকি। হঠাৎ করে রজমান মাসে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়। একারণে পরিমিত খাবার খেতে হবে। সকালের নাশতায় আমরা যা খাই সেহরির মেন্যুতে আমরা সেই খাবার রাখতে পারি।

অনেকেই আমরা ইফতারে বেশি খাওয়ার কারণে সেহরিতে কিছু না খেয়ে রোজা রাখি। এটা কোনোভাবেই ঠিক না। সেহেরিতেও পরিমিত খেতে হবে। সেহরী মেন্যুতে ফল জাতীয় খাবার রাখা যেতে পারে। যেমন কলা, খেজুরসহ বিভিন্ন ফল রাখা যেতে পারে। নিজের শরীর সুস্থ্য রাখতে অবশ্যই পরিমিত ইফতার করতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন : ডায়াবেটিস উচ্চরক্তচাপ আক্রান্ত রোগীরা কিভাবে রোজা রাখবেন?

চৌধুরী তাসনীম হাসিন: রমজানে যেহেতু আমার অনেকেই ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ করি। সেক্ষেত্রে পটাসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া যেতে পারে। সেহরিতে খেজুর রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীও কিন্তু খেজুর খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার পরিত্যাগ করবেন। উচ্চরক্তচাপ রোগীদের চা ও কফি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পরিমাণ মতো পানি গ্রহণ করতে হবে। যেসব খাবারে পানি বেশি পাওয়া যায় সেগুলো খেতে হবে।

একুশে টিভি অনলাইন: রোজায় হৃদরোগীদের  খাদ্যাভাস কি হবে?

চৌধুরী তাসনীম হাসিন : যাদের হৃদরোগ জটিল তথা শারীরিকভাবে অতিরিক্ত দূর্বল তাদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তাদের নিতে হবে। তবে যদি হৃদরোগের মাত্রা কম থাকে তবে তিনি রোজা রাখতে পারবেন, কোন সমস্যা হবে না। তবে খাবারটা একটু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খাবারে তেলের পরিমাণ একটু কম দিতে হবে। ডিম ও চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়া যাবে হবে। একারণে ওজন উচ্চতা শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী খাবার হওয়া উচিত।

একুশে টিভি অনলাইন: যারা ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন তারা কিভাবে রোজা রাখবেন?

চৌধুরী  তাসনীম হাসিন: কিডনি রোগীদের মধ্যে যারা ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন তারাও যদি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস মেনে চলেন তবে রোজা রাখতে পারবেন। কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে। আর কিডনী রোগীদের মধ্যে যাদের ডায়ালাইসিস নিতে হয় না তারা তো অবশ্যই রোজা রাখবেন।

একুশে টিভ অনলাইন: আপনার মূলবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

চৌধুরী  তাসনীম হাসিন: একুশে পরিবারকেও ধন্যবাদ।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

/ এআর /