ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

হাশরের ময়দানে তাকওয়ার ভিত্তিতেই পুরস্কার দেওয়া হবে (ভিডিও)  

প্রকাশিত : ১২:০০ এএম, ৫ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:০৯ পিএম, ৫ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

একুশে টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় ইসলামিক অনুষ্ঠান হলো ‘ইসলামী জিজ্ঞাসা’। সম্প্রতি এ অনুষ্ঠানে `তাকওয়া অর্জনে রমজানের ভূমিকা’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন মহাখালী দারুল উলম হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল-মারুফ। আলোচনার চুম্বক অংশ আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো।

*পবিত্র রমজানের মূল অর্জন হচ্ছে এটা মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ ও উন্নতগুণে সমৃদ্ধ করে। পবিত্র কোরআনে যা তাকওয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত-১৮৩)। 

* উল্লিখিত আয়াতে তাকওয়া দ্বারা গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহর প্রতি ভয় করাকে বুঝানো হয়েছে। তাকওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও আনুকূল্য অর্জন করা সম্ভব। হাশরের ময়দানে তাকওয়ার ভিত্তিতেই মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে মূল্যায়ন করে যথাযথ পুরস্কার প্রদান করবেন। আর এই রমজাম মাস হলো তাকওয়া অর্জনের জন্য উত্তম সময়। 

* তাকওয়ার মাধ্যমে গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহর প্রতি ভয় করা মানে হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালা যে সকল বিধি –বিধান নাজিল করেছেন তা যথাযথভাবে মেনে চলা। যে সকল কাজ করতে বলেছেন তা যথাযথভাবে পালন করা এবং যা করতে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা।

*রমজান মাস হলো তাকওয়া অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। কেননা এ মাসেই পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তাই এই মাসে কোরআন তেলাওয়াত এবং ভালোভাবে বুঝার মাধ্যমে আপনি সহজেই মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারেন।

* রমজান মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখা এবং রাত্রিবেলা  নামাজ, কোরআন তেলেওয়াত এবং অন্যন্য ইবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করা সম্ভব।    

* সিয়াম পালন করা এমন একটি ইবাদত যার সওয়াব আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে দেওয়ার ওয়াদা দিয়েছেন।    

এছাড়াও বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন-

এমএইচ/এসি