1. প্রচ্ছদ
2. জাতীয়

পরিবহন এবং বিদ্যুত-জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য বাজেট। নির্বাচনী বছরের বাজেটের আকার প্রায় চার লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। থাকছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনাও। কাল দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

চলতি বছরের চার লাখ ২শ কোটি টাকার বাজেট প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হচ্ছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪শ’ কোটি টাকায় মতো। বাজেটের সম্ভাব্য আকার নিয়ে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

এছাড়া লক্ষ্য থাকছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার ৭ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করার। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে, গড় মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে।

মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে এনবিআর খাতে ধরা হয়েছে, ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা যা ১৭-১৮ অর্থবছরের  চেয়ে ৭১ হাজার কোটি টাকা বেশী।

বাজেটে আয়ের পাশাপাশি উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বিশাল অংক। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর মতো সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পে আগামী বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে। নতুন এডিপি’র সাড়ে ২৬ শতাংশ বা ৪৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে পরিবহন খাতে- নির্বাচনী বছর রাস্তাঘাট নির্মানের দিকেই ঝোঁক থাকছে সরকারের। সবমিলিয়ে এডিপিতে প্রকল্প থাকছে ১ হাজার ৪৫২টি। আয়-ব্যয়ের হিসাবে পর ঘাটতি থাকছে প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা।

আগামী বাজেটে ভ্যাটের স্তর ৯টি থেকে নামিয়ে ৫টি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ  ভ্যাট হতে পারে ১৫ শতাংশ। আর করমুক্ত আয়ের সীমা আগের মতোই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় সীমাবদ্ধ থাকছে।

তবে, সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটের সুফল নিশ্চিত করতে সঠিক বাস্তবায়নের পরামর্শ দিলেন বিশ্লেষকরা।