ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

শফিক তুহিনের যে স্ট্যাটাসে ক্ষেপেছিলেন আসিফ

প্রকাশিত : ১১:৩১ পিএম, ৬ জুন ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১১:৩২ পিএম, ৬ জুন ২০১৮ বুধবার

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। ওই প্রতিবেদনের মূল বিষয় ছিলো-মেধাস্বত্ব আইনের তোয়াক্কা না করেই গীতিকার এবং সুরকারদের বঞ্চিত করে গান বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। শিল্পী প্রীতম আহমেদ কিছু কাগজপত্র উপস্থাপন করে এ অভিযোগ করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন গীতিকার এবং সুরকারদের গান প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা নামের স্বীকৃতি এবং আর্থিকভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে তালিকায় গায়ক আসিফের নাম ছিল বলে অভিযোগ উঠে। 

এ অনুষ্ঠানটি প্রচার হওয়ার পর গায়ক শফিক তুহিন তার ফেসবুক পাতায় লিখেন, "গান তুমি কার? দেখুন কিভাবে মেধাস্বত্ব চুরি করে শিল্পীদের ফকির বানিয়ে একদল সংগীত দুর্বৃত্ত সম্পদের পাহাড় গড়ে।" নিজের ফেসবুক পেজে শফিক তুহিন কিছু কাগজপত্র শেয়ার করে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে গান বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।

বিষয়টিতে সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আসিফ আকবর এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় লাইভে আসেন ৪ জুন।

দীর্ঘ ওই ফেসবুক লাইভে প্রীতম আহমেদ এবং শফিক তুহিনের কড়া সমালোচনা করেন আসিফ আকবর। তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি।

শফিক তুহিন ফেসবুকে অভিযোগ করেন, "অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি; কিছু হলে দায়ভার আসিফ আকবরের।"

এরপর আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শফিক তুহিন এবং ওই মামলায় প্রাথমিক তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি।    

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার কাগজপত্রে গায়ক আসিফের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

একটি অভিযোগ হচ্ছে, ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকি এবং গালিগালাজের অভিযোগ। সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।

ওই মামলায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা মামলায় গায়ক আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার হওয়া কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর এখন কেরানিঞ্জ কারাগারে রয়েছেন। বুধবার দুপুর দুইটায় তাকে আদালতে তোলা হলে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এমএইচ/এসি