ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

এবার রাজ্যসভায় মাধুরী-কপিল!

প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ৯ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ৯ জুন ২০১৮ শনিবার

বলিউডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা মাধুরী দীক্ষিত। আর ক্রিকেটে দুনিয়ার আরেক তারকা কপিল দেব। এই দুই তারকা এবার ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় যাচ্ছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কারণও রয়েছে।

দেশটির সংসদের গত বাজেট অধিবেশনেই রাজ্যসভার তিন মনোনীত সদস্য রেখা, শচীন, সমাজসেবী অনু আগার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই তিনটি আসনের জন্য নতুন মুখের খোঁজ চলছে। শাসকদল বিজেপির পছন্দমতোই যে নতুন তিন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন করবেন, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

বর্তমানে ভারতজুড়ে বিজেপির, ‘সম্পর্ক ফর সমর্থন’কর্মসূচি চলছে। সেই কর্মসূচিতেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দিনকয়েক আগেই মুম্বাইয়ে চিত্রতারকা মাধুরীর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। তারপর থেকেই বিজেপি মহলে মাধুরীর রাজ্যসভায় আসার জল্পনা শুরু হয়েছে। মাধুরীকে অনেকদিন ধরেই বিজেপির পক্ষ থেকে ‘ট্র‌্যাক’করা হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছিলেন ডান্সিং ডিভা। রেখার মতো ‘গ্ল্যামারাস’প্রখ্যাত অভিনেত্রীর জায়গায় মাধুরীই উপযুক্ত বিকল্প হতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।

তবে শুধু রেখার বিকল্প হিসেবেই মাধুরীর নাম ভাবা হচ্ছে এমনটা নয়, এর পিছনে রাজনৈতিক কারণও রয়েছে। মহারাষ্ট্রে শরিক শিবসেনার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বিজেপির খুব একটা বনিবনা হচ্ছে না। শিবসেনা সবসময়ই মারাঠি ভাবাবেগকে সামনে রেখে কাজ করে। সেই জায়গা থেকেই ‘মারাঠি মুলগী’ (কন্যা) মাধুরীকে রাজ্যসভায় নিয়ে এসে বিজেপিও যে মারাঠি ভাবাবেগকে মর্যাদা দিচ্ছে, এই বার্তা তুলে ধরার উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

একইভাবে, কপিলের দিল্লির বাড়ি গিয়েও তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহ। শচীনের মতো লেজেন্ডের পরিবর্তে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিলদেব নামটি শুনতে ভালই। আবার এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কৈরানা উপনির্বাচনে জাঠ ভোটব্যাঙ্কের উপর দখল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। জাঠ সম্প্রদায়ের কপিলকে রাজ্যসভায় সাংসদ করে জাঠ রাজ্য হরিয়ানায় জাঠ ভোটবাক্স অটুট রাখা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ অধ্যুষিত এলাকায় জাঠ ভোট পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এর পাশাপাশিই মনোনীত প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

একে//