ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘নিরাপত্তার বিনিময়ে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করবেন কিম’  

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৩২ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠক এবং চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাদের মধ্যে `দারুণ ভালো` আলোচনা হয়েছে।  

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিনিময়ে কিম জং আন পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার অঙ্গীকার করেছেন। দুই নেতার স্বাক্ষরিত দলিলে কিম কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এর পর এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এমন কিছু খুঁটিনাটি প্রকাশ করেন - কাগজপত্রে যার উল্লেখ নেই।

সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক একান্ত বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা `একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন পরীক্ষা ক্ষেত্র` ধ্বংস করতে রাজি হয়েছেন, এবং এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে সামরিক মহড়া চালানো বন্ধ করবে। তিনি এসব যুদ্ধের মহড়াকে `ব্যয়বহুল এবং উস্কানিমূলক` বলেও বর্ণনা করেন।

কেউ কেউ অবশ্য এই মহড়া বন্ধের অঙ্গীকারকে `মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড় দিয়েছে` বলে চিত্রিত করতে চাইছেন। তবে এই প্রথম ক্ষমতাসীন অবস্থায় কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার নেতার বৈঠক হলো - যারা কিছুকাল আগেও পরস্পরের উদ্দেশ্যে অপমানকর ব্যঙ্গবিদ্রুপ ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন।

শীর্ষ বৈঠকের মূল বিষয় ছিল: পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং উত্তেজনা হ্রাস। স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয় - দুই দেশ নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা করবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে।

কিম কোরিয়ান উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ রূপে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার জন্য তার অবিচল এবং দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। কিভাবে এটা করা হবে তা স্পষ্ট করা হয় নি বলে কোন কোন বিশ্লেষক মতামত দিয়েছেন।

তাদের কথা : মাত্র দেড় পৃষ্ঠার এই দলিলটি অস্পষ্ট এবং `এর ভেতরে কিছু নেই।`

তবে পরে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, পরমাণূ অস্ত্র ত্যাগের ব্যাপারটি যেন যাচাই করে দেখা যায় - তাতে কিম রাজী হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আপাতত: বলবৎ থাকবে, তবে কিম অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলে পরে তা তুলে নেয়া হতে পারে। এই বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এর মধ্যে দিয়ে শীতল যুদ্ধের যুগের শেষ সংঘাতের অবসান হলো।

একে আরো স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়া এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এখন উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা যেতে পারে।

তবে ইরান বলেছে, এমনও হতে পারে যে ট্রাম্প দেশে ফিরে যাবার আগেই এ চুক্তি বাতিল করে দিতে পারেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা  

এসি