ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রধান আসছেন ঢাকায়

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৩৮ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

পহেলা জুলাই তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম জং কিম। সফরকালে তারা রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও তাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

২০১৭ সালে নতুন আকারে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হলে তখন থেকেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে অত্যন্ত সোচ্চার রয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিশ্বব্যাংক।

জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশে এটাই হবে প্রথম সফর। এর আগে তিনি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের প্রধান হিসেবে রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। আর বিশ্বব্যাংকের প্রধান জিম জং কিমের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা এগিয়ে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকও রোহিঙ্গাদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয় সংস্থাটি। এ ধারাবাহিকতায় একটি সহায়তা মিশন সম্প্রতি কাজ শেষ করেছে। একইসঙ্গে অন্যান্য দাতা সংস্থা ও দেশ যৌথভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে এবং ইতিমধ্যেই কিছু সাহায্যও পাওয়া যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার সরকার। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে চার দশক ধরে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার অভিযোগ তুলে সেনা অভিযানের নামে নৃশংসতা শুরু হলে লাখ-লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এদের আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে।

আরকে//